বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন। আর এ কারণে স্বজনরা সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তার দেখা পাচ্ছেন না।
গতকাল রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে জয়নুল আবেদীন এ অভিযোগ করেন। এ সময় সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ড. মো. গোলাম রহমান ভূইয়া ও এম গোলাম মোস্তফা, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন আকতার, সহ-সম্পাদক কাজী জয়নাল আবেদীন, কার্যনির্বাহী সদস্য মাহফুজ বিন ইউসুফ ও আহসান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়া এর আগে মাইল্ড স্ট্রোক করেছিলেন, তখন আমরা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে চিকিৎসা না দিয়ে তাকে জেলে আটকে রেখেছে। যে মামলায় তাকে আটক রাখা হয়েছে সে মামলায় আপিল বিভাগ থেকে জামিন পেলেও একের পর এক রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাবাস দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বিচারাধীন (সাবজুডিশ) বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যে আদালতের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, একদিকে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না, অন্যদিকে তার সঙ্গে কাউকে দেখা করতেও দেওয়া হচ্ছে না। গত শনিবার তার বড় বোন দেখা করতে গেলেও অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। এতেই মনে হচ্ছে সরকার খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে চায়।
এ অবস্থায় আমরা সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী হিসেবে নির্লিপ্ত থাকতে পারি না। দেশ এবং জাতির প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। কারণ এ সমিতি অতীতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন এবং সংবিধান সমুন্নত রাখতে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করেছে। আমরা সরকারকে অনুরোধ করব একজন নাগরিক তিনি যেই হোক না কেন সংবিধান অনুযায়ী তার চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
