• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
অবরুদ্ধতার নাটক সাজিয়েছেন মওদুদ

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

সংবাদ সম্মেলনে ড. হাছান মাহমুদ

অবরুদ্ধতার নাটক সাজিয়েছেন মওদুদ

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৯ আগস্ট ২০১৮

বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই মওদুদ আহমেদ সরকারের বিরুদ্ধে তাকে অবরুদ্ধ করার নাটক সাজিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে শনিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ মওদুদ আহমেদকে নোয়াখালীতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

হাছান মাহমুদ এ সময় বলেন, মওদুদ সাহেব বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের আস্থা হারিয়েছেন অনেক আগেই। তারা দুইজনই তাকে সন্দেহের চোখে দেখেন। বেগম জিয়া তার আইনজীবী প্রতিনিধি দলকে বলে দিয়েছেন, মওদুদ আহমেদকে মামলায় যেন না রাখা হয়। বিভিন্ন পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরাও তাকে সন্দেহের চোখে দেখেন। তিনি বলেন, মওদুদ সাহেবকে প্রকৃতপক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি। এসব মনগড়া অভিযোগ এবং সাজানো নাটক ছাড়া অন্য কিছু নয়।

ড. হাছান মাহমুদ এ বিষয়ে আরও বলেন, মওদুদ আহমেদ ইতিপূর্বে কখনো ঈদের ৫-৭ দিন আগে গ্রামের বাড়ি যাননি। তিনি সচরাচর সবসময় যত দিন ধরে রাজনীতি করছেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন এবং কয়েক বছর ধরে ঈদের পর দিন গ্রামের বাড়ি যেতেন। কিন্তু গত রমজানে ঈদের আগে তিনি গ্রামের বাড়ি গেছেন। এবার পাঁচ দিন আগে গ্রামের বাড়ি গেছেন। রমজানের ঈদের আগে কোটাবিরোধী আন্দোলন হয়েছিল। সেই আন্দোলনে বাতাস দিয়েছিলেন মওদুদ আহমেদসহ আরও অনেকে। সেই আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর মওদুদ আহমেদ গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। তখনো তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার নাটক সাজিয়েছিলেন। এবারও কিছু দিন আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আমাদের কিশোর-কিশোরীরা আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। যেটিতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন ছিল। সরকারের পূর্ণ সমর্থন ছিল। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ সমর্থন ছিল। প্রধানমন্ত্রী অর্থাৎ সরকার সব দাবি মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়নের কাজও শুরু করেছেন। সেই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জন্য মওদুদ আহমেদসহ আরও অনেকেই ২৫-৩০ বছরের যুবক ও মহিলাদের স্কুলের ড্রেস পরিয়ে, পেছনে ব্যাগ ঝুলিয়ে কোমলমতি সাজিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ব্যাগের মধ্যে ছিল পাথর, চাপাতি, লোহার রড। মওদুদ আহমেদরাই এ কাজগুলো করেছিলেন। তাদের সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।

হাসান মাহমুদ বলেন আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, সেখানে কোনো পুলিশ নেই। তার নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি কয়েক ভাগে বিভক্ত। তাদের মধ্যেই দলাদলি আছে। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে ঘায়েল করতে সবসময় তৎপর থাকে। গ্রুপিং আড়াল করতে তিনি সরকার, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয়। ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, এ ধরনের নাটক করে আপনাদের মধ্যে যে মতদ্বৈততা, সেগুলো যেমন লুকোতে পারবেন না। দলের চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনসহ নেতা-কর্মীদের যে আস্থা মওদুদ সাহেব হারিয়েছেন এ নাটক করে তা ফিরে পাবেন না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads