• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার রাতে বৈঠকে বসেছেন বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

ছবি: বাংলাদেশের খবর

রাজনীতি

দেশের স্বার্থে ‘আরেকটি ভালো উদ্যোগ’ সফলের আশা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩১ আগস্ট ২০১৮

জীবন সায়াহ্নে দেশ ও মানুষের স্বার্থে ‘আরেকটি ভালো উদ্যোগে’ সফল হতে চান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বঙ্গবীর আবদুুল কাদের সিদ্দিকী ও সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. কামাল হোসেন। ‘ভালো কাজ’ বলতে তারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনবান্ধব একটি সরকার প্রতিষ্ঠাকে বুঝাতে চেয়েছেন। এ কাজটি করতে জাতীয় ঐক্যের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন তারা। রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরাম কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে এই দুই নেতা এসব খসড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কাদের সিদ্দিকী তার দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে কিছু প্রস্তাবনা দেবেন বলে ড. কামালকে জানিয়েছেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের আলোচনার বিষয় গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি। তবে দুই দলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জাতীয় ঐক্যআন্দোলন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন এবং সরকার গঠনসহ সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়াদি উঠে এসেছে আলোচনায়। দুই নেতা একমত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে বড় দুই জোটের বাইরে তৃতীয় বৃহৎ রাজনৈতিক জোট গঠনের।

এর আগে গত মঙ্গলবার বেইলি রোডে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠক করেন যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে তৃতীয় একটি ধারা তৈরিতে কাজ করছে বি. চৌধুরী, আ স ম রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নার যুক্তফ্রন্ট। গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তফ্রন্ট গঠনের পর ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম এবং কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে যুক্ত করার চেষ্টায় রয়েছেন জোটটির নেতারা। এর অংশ হিসেবেই গতকাল কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন ড. কামাল।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে আমাদের মধ্যেও তাই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সব কথা তো বলা যাবে না। বর্তমান পরিস্থিতিকে আপনারা কেন সঙ্কটময় মনে করছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনি যে এখান থেকে বাসায় যেতে পারবেন তার কোনো গ্যারান্টি আছে? যদি না থাকে তাহলেই তো সঙ্কট। এ রকম অসংখ্য সঙ্কট আছে। কী ধরনের নির্বাচন হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন মনে করবেন জানতে চাইলে বঙ্গবীর বলেন, যে নির্বাচন সকলে মেনে নেবে, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হবে, সে ধরনের নির্বাচন হলেই মেনে নেবে তার দল।

বৈঠকে অংশ নেওয়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বাংলাদেশের খবরকে বলেন, দুই নেতাই জীবনের শেষ প্রান্তে। তারা মুক্তিযুদ্ধ করে একটি স্বাধীন দেশ এবং সংবিধান উপহার দিয়েছেন। এখন দেশের ক্রান্তিকাল চলছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই ধারণ করে সবার সম্মিলিত উদ্যোগে ভোটের মাধ্যমে একটি জনবান্ধব সরকার গঠনের চেষ্টা করছেন। এসব নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করলে ড. কামাল হোসেনকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে চান কাদের সিদ্দিকী। এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ড. কামাল ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, এটা তার প্রত্যাশা নয়। তবে মানুষের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে কাজ করবেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads