• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ আজ

বিএনপির লোগো

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

অংশ নিতে পারেন জাতীয় ঐক্যের প্রতিনিধিরা

নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। মহাসমাবেশ থেকে দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেবে দলটি। এমনটাই জানিয়েছেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। তারা জানিয়েছেন, আজকের মহাসমাবেশে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের যে প্রক্রিয়া চলছে তার অংশ হিসেবে গণফোরাম ও যুক্তফ্রন্টের দলগুলোর প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখবেন। বিএনপি দফতর নেতারদের অভিযোগ, মহাসমাবেশ সফল করতে তাদের চাইতে পুলিশের তৎপরতা বেশি। ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে প্রতিদিন হানা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শেরে বাংলানগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবেন। দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে সমাবেশ শুরু হবে। সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দলটি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে দলটি গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে এক বাণী পাঠিয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বাংলাদেশের খবরকে বলেন, মহাসমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করেছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। মহাসমাবেশের কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মহাসমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম ঘটবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কর্মসূচিতে পরোক্ষভাবে কোনো বাধা দিলে দেশের মানুষ এটা ভালোভাবে নেবে না। তারা এর জবাব দেবে।

মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বাংলাদেশের খবরকে বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মহাসমাবেশ সফল করতে তারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মহাসমাবেশে আশপাশের জেলাগুলোর নেতাকর্মীরা অংশ নিতে আসবে। তবে তারা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ঢাকার ওপর। ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মূলত এ মহাসমাবেশ সফল করবে।

মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপির চাইতে পুলিশের প্রস্তুতি বেশি দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকার আশপাশের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। রাজধানী ঢাকায়তো গত কয়েকদিন যাবত ধরপাকর চলছে।

তিনি বলছেন, তাদের প্রস্তুতি ভালো। বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর জনসমাগম হবে এই সমাবেশে। বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের অগ্রগতি আছে। তার অংশ হিসাবে যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের প্রতিনিধি দল বিএনপির সমাবেশে সংহতি জানাতে আসবে। বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি শিগগিরই আত্মপ্রকাশ করবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads