• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
জাতীয় ঐক্য গঠনে ছাড় দিতে প্রস্তুত বিএনপি: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

জাতীয় ঐক্য গঠনে ছাড় দিতে প্রস্তুত বিএনপি: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বড় রাজনৈতিক ঐক্য গড়তে ছাড় দিতে হবে। বিএনপি জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সেই ছাড় দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশনা নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে কাজ করছে বিএনপি। গতকাল শনিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা অংশ নেন। সভা শেষে খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, সব সময় মনে রাখতে হবে বৃহত্তর ঐক্য কখনোই হবে না, যদি না আমরা কিছু না কিছু ত্যাগ স্বীকার করি। ওইসব ছাড় দিয়ে আজকে একটা না একটা জায়গায় আসতে হবে। আমরা সে চেষ্টাই করছি। গোটা দেশ এটাই চায়। অন্যান্য যারা আছেন, তারাও বোঝেন, এটা ছাড়া কোনো মুক্তি নেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, চেয়ারপারসনের নির্দেশ অনুযায়ী শান্তিময় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে, প্রক্রিয়া চলছে। আমরা বিশ্বাস করি এটাতে আমরা সফল হব। আমরা বিশ্বাস করি, অতি দ্রুত জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সমগ্র জাতি এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতিকে মুক্ত করার জন্য, গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করবে।

খালেদা জিয়ার বিচারে কারাগারে আদালতে বসানোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছোট একটা ঘরের মধ্যে ক্যামেরা ট্রায়াল করা হচ্ছে। যেখানে ট্রায়াল হচ্ছে একে বাংলায় বলা যায় গুহা। প্রধানমন্ত্রী নাকি বলেছেন, জিয়াউর রহমান এই ধরনের বিচার করেছিলেন। জিয়াউর রহমান এই ধরনের বিচার করেননি। বিচারটা হয়েছিল মার্শাল ল’র অধীনে। বিচারপতি আবু সাদাত মো. সায়েম ওই সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ছিলেন। সুতরাং মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভুল বোঝানো চলবে না। কিন্তু আজ যা হচ্ছে সেটি মানবতাবিরোধী।

সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাজানো মামলায় তাদের আটক করা হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার পালানোর পথ খুঁজছে। আওয়ামী লীগ পরাজিত হচ্ছে, সরকার পরাজিত হচ্ছে, আর সেই জন্য পালাবার পথ খুঁজছে। কীভাবে পালাবে সেই পথ খুঁজছে। এ জন্য আজ মরিয়া হয়ে শেষ চেষ্টা করছে কীভাবে বিএনপিকে দমন করা যায়, জনগণের ঐক্য বন্ধ করা যায়, জাতীয় ঐক্যকে বন্ধ করা যায়।

বিএনপি মহাসচিব সরকারকে দানব আখ্যা দিয়ে বলেন, দানবীয় একটি সরকার জনগণের ওপর চেপে বসেছে। তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দেশের জনগণের ওপর নির্যাতন করছে। নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার শেষ চেষ্টা করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। এ দেশের জনগণ কখনো কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। প্রবল শক্তিশালী পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয়ী হয়েছে। পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচারের সঙ্গে যুদ্ধ করে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছে। এবারো গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবে।

সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ প্রমুখ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads