• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
মামাবাড়ির আবদার চলবে না : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

নতুন জোট যুক্তফ্রন্ট

মামাবাড়ির আবদার চলবে না : কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নির্বাচনকালে সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকার গঠন, সেনা মোতায়েন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্যের দাবিকে মামাবাড়ির আবদার বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। এক-দেড়মাস বাকি আছে। এখন মামাবাড়ির আবদার করলে তো চলবে না।’

গতকাল রোববার দুপুরে ইনস্টিটউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) কাউন্সিল হলে সংগঠনটির ৪১তম কাউন্সিল অধিবেশনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এসব কথা বলেন। রাজনৈতিক ওই জোটের দাবি প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবেই আমাদের দেশেও নির্বাচন হবে।’ জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি সময় এবং পরিস্থিতিতে মোতায়েন করা দরকার হয়, সেই অবস্থায় নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করলে, সরকার প্রয়োজনে এবং বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে কীভাবে মোতায়েন হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে।’

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সময় এখন নেই, এখানে তো বিএনপিরও প্রতিনিধি রয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই রাষ্ট্রপতি এ নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে।’ যুক্তফ্রন্টের ৫ দফা বিএনপির দাবির সঙ্গে মিলে গেছে কি না- সাংবাদিকদের এমন লিখিত প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এটা মিলে গেল কি না, তা দেখা আমাদের বিষয় না। বিএনপি কার সঙ্গে যাবে, কীভাবে যাবে তাও আমাদের বিষয় না। আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, যুক্তফ্রন্টের নেতারা বলেছেন- বিএনপির প্রধান মিত্র জামায়াতে ইসলামী থাকলে, তারা বিএনপির সঙ্গে যাবে না। এখানে তো আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। তবে নতুন নতুন জোট হলে স্বাগত, শত ফুল ফুটুক।’

নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টই বিএনপির বিকল্প কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, ‘সেটা আমরা জানি না। তবে আমরা জানি, বিএনপি না এলেও এবার প্রতিদ্বন্দ্বীর অভাব নেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদ তৈরির কোনো সুযোগ নেই।’ কাদের বলেন, ‘আমাদের বিকল্প কী? আমাদের বিকল্প হচ্ছে সাম্প্র্রদায়িক অপশক্তি। যাদের দুঃশাসনে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত অত্যাচার, নির্যাতন, ব্যাড পলিটিক্স ছিল। আমরা মনে করি না আমাদের সবকিছু শুদ্ধ, আমাদেরও ভুল-ত্রুটি আছে। কিন্তু ভুল-ত্রুটি সংশোধনের সৎ সাহস শেখ হাসিনার রয়েছে। দলের মধ্যে কেউ অন্যায় করলে তাকে আমরা শাস্তি দিই।’

বিএনপি মহাসচিবের যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিদেশে গিয়ে নালিশ করে দেশকে কেন খাটো করছেন? জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণ- বাস্তবে দেখা গেল এমন কোনো আমন্ত্রণ  নেই। কী রকম তারা প্রতারণা করে, রাজনীতিতে ছদ্মবেশী প্রতারণা পার্টির নাম বিএনপি। বিএনপি এখন বিদেশিদের কাছে ‘বাংলাদেশ কান্নাকাটি পার্টি’ হয়ে গেছে।’ জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘আমরা কি যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, আফগানিস্তান, সোমালিয়া? আমরা কি সাউথ সুদান, কঙ্গো, ইরাক, জিম্বাবুয়ে? শেখ হাসিনা সরকারই তত্ত্বাবধান করবে এবং নির্বাচন কমিশনই এ নির্বাচন পরিচালনা করবে।’

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিরোধী দলগুলোকে সভা-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) গণভবনে আমাদের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বলেছেন, সভা-সমাবেশ করার ব্যাপারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যাতে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে, এ কথা পুলিশ কমিশনারকে জানিয়ে দিতে। তবে পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক সময় অনেককে অনুমতি দেয় না।’

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads