সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উগ্রতা, ভূয়া কনটেন্ট তৈরির পেছনে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীরা জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
তিনি বলেন, এসবের সঙ্গে ইসলাম, মুসলিম, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কওমী মাদরাসা কোনভাবেই জড়িত নয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বারিধারার কূটনৈতিক পাড়ার একটি হোটেলে মুভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উগ্রবাদ ও ভূয়া কনটেন্ট : চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড.মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান।
আলোচনায় অংশগ্রহন করেন কানাডিয়ান হাই কমিশনার বিনয় প্রিপটেইন, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড.গোলাম রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মাওলানা আলতাফ হোসাইন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বীরপ্রতীক, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমূখ।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধর্মীয় উস্কানী দিয়ে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছিল তার সুবিধাভোগী হলো বিএনপি জামায়াত।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব ছড়িয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রও করা হয়েছিল। এসবের পেছনে রাজনৈতিক সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল। জামায়াত সহযোগিতা করেছে আর লন্ডন থেকে ফোন করে উস্কানীও দেওয়া হয়েছে।
মাদরাসার ছাত্ররা কোনো উগ্রবাদী দলের সঙ্গে বা কর্মকাণ্ডে জড়িত নয় বলে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল যারা উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের পর রাজনৈতিক সুবিধা পায়, তারাই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানীতে আগে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেসব ঘটনার সুবিধাভোগী কারা তা বের করতে হবে। তাহলে কারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা বের হয়ে আসবে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে হানিফ বলেন, যে কেউ তার নাম ও পরিচয় প্রকাশ করে মত প্রকাশ করতেই পারে। তবে কেউ নাম পরিচয় গোপন করে ভূঁয়া আইডি থেকে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে না। যদি এটা কেউ করে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে।