• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
বাম জোটের ইসি ঘেরাও পুলিশের লাঠিপেটায় পণ্ড

কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ইসি ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

বাম জোটের ইসি ঘেরাও পুলিশের লাঠিপেটায় পণ্ড

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে ‘নিরপেক্ষ তদারকি সরকার’ গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পুলিশ লাঠিপেটায় পণ্ড করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জোটের নেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশের পর দুপুর দেড়টার দিকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের একটি মিছিল আগারগাঁওয়ের ইসি কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করে। মিছিলটি কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে পৌঁছালে পুলিশ তাদের পথরোধ করে। নেতাকর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে সামনে এগোতে চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

জোটের শরিক সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন জানান, সার্ক ফোয়ারার কাছে গণতান্ত্রিক জোটের পদযাত্রা পৌঁছালে পুলিশ বিনা উসকানিতে তাদের উপর লাঠিচার্জ করে। তিনি বলেন, ‘পুলিশের হামলায় জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও সিপিবি কেন্দ্রীয় নারী সেলের সদস্য লূনা নূরসহ অনেকে আহত হন।’ এদের মধ্যে সাইফুল হককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে রতন জানান।

পরে প্রেস ক্লাবের সামনে জোটের বিক্ষোভ সমাবেশে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কবাদী) নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু ও গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ফিরোজ আহমেদ বক্তব্য দেন। 


জোটের দফাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইভিএম চালু ও ডিজিটাল ভোট ডাকাতির পাঁয়তারা বন্ধ করা, প্রার্থীর জামানত ৫ হাজার টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করে কঠোরভাবে তা মেনে চলতে বাধ্য করা, অনলাইনে মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার বিধান চালু করা, ভোটারের ইচ্ছায় জনপ্রতিনিধি প্রত্যাহার করা এবং ‘না’ ভোটের বিধান চালু করা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক সইয়ের বিধান বাতিল করা প্রভৃতি। আটটি বামপন্থি রাজনৈতিক দল মিলে গত ১৮ জুলাই ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ যাত্রা শুরু করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads