• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
সিলেটে সমাবেশের অনুমতি পেল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

ছবি : সংরক্ষিত

রাজনীতি

বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি

সিলেটে সমাবেশের অনুমতি পেল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ অক্টোবর ২০১৮

সিলেটে ১৪ শর্তে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। শর্তসাপেক্ষে ২৪ অক্টোবর সিলেটের রেজিস্ট্রি মাঠে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি শর্ত হলো দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে। শর্তযুক্ত সমাবেশ করার অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ।

গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সমাবেশের অনুমতিপত্র পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। নেতাকর্মীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষ সরকারের দুঃশাসনে পিষ্ট। তারা মুক্তি চান। এ কারণেই তারা সমাবেশে দলে দলে যোগ দেবেন। এদিকে সমাবেশের অনুমতি পেয়ে বৈঠক করেছেন ফ্রন্টের নেতারা। সিলেটে বড় ধরনের শোডাউন করতে চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। শোডাউনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ সমাবেশে ফ্রন্টের সিনিয়র নেতারা একমঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন ও নির্বাচন নিয়ে নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দেবেন। 

সিলেট বিএনপিই মূলত সব দলকে সঙ্গে নিয়ে শোডাউনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সিলেটের চার জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেবেন। ঢাকা থেকে সিলেটে গিয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা প্রথমে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত করবেন। পরে তারা সমাবেশে যোগ দেবেন। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ঐক্যফন্টের শীর্ষ নেতারা বিমানযোগে সিলেটে যাবেন। অন্য নেতারা যাবেন সড়কপথে।

গত ১৩ অক্টোবর গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য ও বিএনপি মিলে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এরপর একাধিক বৈঠক করে ফ্রন্টের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে ২৩ অক্টোবর সিলেটে সমাবেশের ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত দিনে সমাবেশের অনুমতি মেলেনি। একদিন পিছিয়ে সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে ৭ দফা দাবিতে মাঠে নেমেছে ঐক্যফ্রন্ট। দাবিগুলোর অন্যতম হচ্ছে- নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দেওয়া ও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনকালীন সেনাবাহিনী মোতায়েন। এসব দাবিতে সিরিজ কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেটের পর আগামী ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে ও ৩০ অক্টোবর রাজশাহীতে জনসভা করবে ঐক্যফ্রন্ট। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন কূটনীতিকদের ৮টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। ড. কামাল যে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দেখিয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছেন, তাতে ফ্রন্টভুক্ত দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের আস্থা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী ২৬ অক্টোবর রাজধানীতে শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তারা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads