• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
সরকারকে আজ চিঠি দেবে ঐক্যফ্রন্ট

সংলাপ চেয়ে সরকারকে চিঠি দেবে ঐক্যফ্রন্ট

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

সরকারকে আজ চিঠি দেবে ঐক্যফ্রন্ট

  • রেজাউল করিম লাবলু
  • প্রকাশিত ২৩ অক্টোবর ২০১৮

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে আজ  মঙ্গলবার সরকারকে চিঠি দেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। চিঠিতে নির্বাচনের আগে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তি, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ ৭ দফা দাবি উল্লেখ করা হবে। গতকাল বাংলাদেশের খবরকে এমনটাই জানিয়েছেন ফ্রন্টের নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।

তিনি বলেন, চিঠিতে ৭টি দাবি তুলে ধরা হবে। সেগুলো হলো- নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, মন্ত্রিসভার পদত্যাগ, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় নির্বাহী বিভাগ বা সরকার গঠন, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া, বাকস্বাধীনতা ও রাজনীতির সভা-সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করা, জনগণের আস্থা আছে এমন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করা। সুব্রত চৌধুরী বলেন, গত রোববার বিকালে গণফোরাম কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বৈঠকে চিঠির ড্রাফট চূড়ান্ত করা হয়। আজ মঙ্গলবার সুবিধাজনক যেকোনো সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চিঠি পৌঁছে দেওয়া হবে। ফ্রন্টের নেতাদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল এই চিঠি পৌঁছে দেবেন। পাশাপাশি দুই-একদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনেও (ইসি) একটি চিঠি দেওয়া হবে। চিঠিতে তফসিল ঘোষণার আগে ইসিকে ফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার আহ্বান জানানো হবে।

এদিকে গতকাল সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে নিরাপদ সড়ক দিবস নিয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে সংলাপের যে আহ্বান জানানো হচ্ছে সেটি অযৌক্তিক, অবাস্তব ও অপ্রয়োজনীয়। এখনো তফসিল ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে সংলাপের দাবি উঠেছে। তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপের দাবি অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশের খবরকে বলেন- ফ্রন্ট নিজেদের স্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থে সংলাপ চায়। দেশে-বিদেশে সবার একটিমাত্র দাবি। আর তা হলো আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন সব দলের অংশগ্রহণে হয়। নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। সেজন্য ফ্রন্টের পক্ষ থেকে সরকারকে আলোচনার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সরকার দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ফ্রন্টের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে গত রোববার বিকালে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বৈঠকের পর জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপসহ ৭ দফা জানিয়ে শিগগিরই সরকারকে চিঠি দেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

এর আগে রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের কার্যালয়ে এ বৈঠক বসে বিকাল ৫টায়। চলে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী। বৈঠকে ফ্রন্টের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা অংশ নেন। ফ্রন্টের বাইরে বৈঠকে গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু।

গণফোরাম কার্যালয় ব্যবহার হবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয় হিসেবে : গতকাল সোমবার সকালে মতিঝিলের আরামবাগে অবস্থিত গণফোরাম কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্র বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ফ্রন্টের বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- এখন থেকে আরামবাগস্থ গণফোরামের অফিস ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হবে, সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরী। এছাড়া আজ (গতকাল) রাতেই গণফোরাম নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং বিএনপি নেতা মো. শাহজাহান সিলেট যাবেন সেখানে অনুষ্ঠেয় বুধবারের সভা সফল করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, মনিরুল হক চৌধুরী, গণফোরাম নেতা আ ও ম শফিউল্লাহ, মোস্তাক আহমেদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের শহিদুল্লাহ কায়সার ও মমিনুল ইসলাম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads