• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সংলাপের ফল নিয়ে সংশয় ফখরুলের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি

সংলাপের ফল নিয়ে সংশয় ফখরুলের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ অক্টোবর ২০১৮

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজার রায়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আপিলের রায়ের পর সংলাপ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে নিয়ে নয়াপল্টন কার্যালয়ে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠক শেষে তাদেরকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। অথচ আপিলে সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে দেওয়া হয়েছে। এই রায় আমাদের পুরোপুরি স্তম্ভিত করেছে। বিস্মিত করেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই রায় আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। জনগণই এর বিচার করবে।’

তিনি বলেন, ‘এই রায় আমাদের পুরোপুরিভাবে বিস্মিত করেছে, ম্তম্ভিত করেছে। তারা বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়, দেশনেত্রীকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়কে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায় এবং রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চায়। যেটা আমরা বারবার বলে এসেছি। এই যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আমার কাছে মনে হয়, এটা শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই নয়, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসাও এখানে কাজ করেছে। যে কারণে অসুস্থ, একেবারে চরমভাবে অসুস্থ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে এই ধরনের সাজা প্রদান করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অনেকটা অযোগ্য হয়ে গেলেন।

এ মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বাকি শর্তগুলো সরকার মেনে নিলে নির্বাচনে যাবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে আমাদের (বিএনপি) আলোচনার পর।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মো. শাহজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

এর আগে, মঙ্গলবার সকালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ওই মামলায় খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডাদেশ বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় নিম্ন আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads