• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আজ জানাবে ঐক্যফ্রন্ট

ড. কামাল

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আজ জানাবে ঐক্যফ্রন্ট

দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ড. কামালের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ নভেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানাবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। আজ রোববার দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেবেন তিনি। গতকাল রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফ্রন্টের নেতারা। এ কথা জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফ্রন্টের এক শীর্ষ নেতা। বৈঠক শেষে ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচনে যাওয়া, না যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে আজ।

ফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ফ্রন্টের বৈঠকে নির্বাচন পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে ইসিতে চিঠি পাঠানো হবে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বৈঠক শেষ হয় ১১টায়। মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, প্রেসিডিয়াম সদস্য তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যের নেতা সুলতান মো. মনসুর প্রমুখ।

এর আগে গুলশান কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে জোটের মুখপাত্র ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি অলি আহমেদ বলেন, আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই নির্বাচনে যাওয়া, না যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে ২০ দলীয় জোট। জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে আগামীকাল (আজ) নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জোট নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি হলো জোটের প্রধান দাবি। তাকে মুক্তি দিতে হবে। তাহলে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে আসবে। তা ছাড়া ২০ দলের অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। যদিও সরকার বলছে যে, সবার জন্য নির্বাচনের সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জোট মনে করে, এটা শুধু মুখের কথায় সীমাবদ্ধ, পত্রিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এখনো সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়নি।

‘দুদিন পর আপনারা সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলছেন অথচ নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী জোটগতভাবে নির্বাচনের বিষয়টি আগামীকালের (রোববার) মধ্যে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে জোটের অবস্থান কী?’ সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে এলডিপির প্রধান বলেন, ‘আমরা যারা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এই জোটে আছি তারা কমিশনের কাছে চিঠি লিখব। চিঠির ভাষা এমন হবে যে, যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি সে ক্ষেত্রে অনেকে নিজ দলীয় প্রতীকে আবার অনেকে ২০ দলের মূল দল বিএনপির প্রতীকে নির্বাচন করবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জোটের এক প্রভাবশালী নেতা বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ঘোষিত তফসিল তড়িঘড়ি করে দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব নয়। তাই ঘোষিত তফসিল পেছানোর জন্য ইসিতে চিঠি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ঘোষিত তফসিল পেছানো ছাড়াও ইসির কাছে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানানো হবে।

অলি আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতের আবদুল হালিম, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, আহমেদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা এমএ রকীব, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার তাসমিয়া প্রধান, এনডিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমানসহ জোটের শীর্ষ নেতারা।

২০ দলীয় জোটের বৈঠকের আগে বিকাল ৫টায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ সদস্য নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তাদের মতামত জানান বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির এক সদস্য।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads