• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া

সিলেটে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াত-শিবির কর্মী।

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

এবার ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার

বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ১১ নভেম্বর ২০১৮

রাজনৈতিক কারণে হয়রানিমূলক গণগ্রেফতারের বিষয়টি বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হওয়ার পর পুলিশ এখন ভিডিও ফুটেজ দেখে বিএনপি ও সরকারবিরোধী মতাদর্শের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। নতুন কৌশলে পুলিশের এই অভিযানের ফলে বিএনপি কর্মী-সমর্থকরা রাতে বাসায় থাকছেন না। এমনকি এক সময় বিএনপি করতেন, গত দুই-তিন বছর ধরে নিষ্ক্রিয় আছেন বা ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িয়ে রাজনীতি থেকে যোজন যোজন দূরে আছেন এমনসব সমর্থকের বাসায়ও তল্লাশি করছে পুলিশ। গত তিন দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির কমপক্ষে ৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে যারা বিএনপির পক্ষে মিছিল, সমাবেশ বা অন্য কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তাদের ভিডিও ফুটেজ ওই সময়ই করে রেখেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগরের প্রায় সব থানা এলাকায় এই ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

গত শুক্রবার রাতে জনতাবাগ এলাকা থেকে সজীব নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করে কদমতলী থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, সে এলাকায় উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের সংগঠিত করছিল সরকারের বিরুদ্ধে। নাশকতামূলক তৎপরতায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু সজীবের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমার ছেলে রাজনীতি করে না। তার অপরাধ বিএনপির এক নেতার সঙ্গে সে ছবি তুলেছে। এ কারণেই পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে চোখে সরষে ফুল দেখছে। ক্ষমতা হারানোর ভয় পেয়ে বসেছে তাদের। ফলে যাকে খুশি তাকে গ্রেফতার করে পুরো দেশটাকেই জেলখানা বানিয়েছে। পুলিশকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সরকার নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে। সময় আর বেশি দূরে নেই, আওয়ামী লীগের নেতারা পালাবার পথ পাবেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করাটা পুলিশের দায়িত্বের অংশ। এতে তো আমি দোষের কিছু দেখি না। তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসী, যারা জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করে, রাজনৈতিক সহিংসতা উসকে দেয় পুলিশ তো তাদের গ্রেফতার করবেই।

তিনি বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার- কোনো সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। আপনি একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিয়ে দেখুন, একটি প্রমাণ দিন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার। আমি এর সঙ্গে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads