• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
রিটার্নিং অফিসারদের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ডাকা হয়নি

লোগো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট

রাজনীতি

ইসিতে ১৪ দলের চিঠি

রিটার্নিং অফিসারদের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ডাকা হয়নি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ নভেম্বর ২০১৮

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট রিটার্নিং অফিসারদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ব্রিফ করার অভিযোগ কাল্পনিক ও মনগড়া বলে দাবি করেছে। এ বিষয়ে তারা লিখিত ব্যাখ্যা দিয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তা ইসিতে জমা দিয়েছে। তারা বলেছে, গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে নির্বাচনের পরিবেশ অস্থিতিশীল করে তুলছে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। প্রতিনিয়ত তারা নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বক্তব্য রাখছে; অথচ ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন একজন আইনজ্ঞ হয়েও এ বিষয়ে কিছুই বলছেন না। বিএনপি যে দাবিগুলো উত্থাপন করছে সেগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে ব্যাখ্যা জমা দেন। চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বানচালের অংশ হিসেবেই প্রতিদিন অসত্য ও মনগড়া অভিযোগ ইসিতে নিয়ে আসছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল ও জোটের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য কর্তব্য। অথচ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একজন দণ্ডিত ও পলাতক আসামি হওয়ার পরও তিনি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামি জাতীয় সংসদের সদস্য পদ প্রার্থীদের বাছাই করতে পারেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সংবিধানের প্রতি চরম অবমাননা এবং রাষ্ট্রীয় বিধিবিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তারেক রহমানের এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসির প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

ইসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিনিধিদলটির প্রধান দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের চেষ্টা করছে। তারা একদিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আবার প্রতিদিন নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে মনগড়া ও বানোয়াট অভিযোগ করে সংশ্লিষ্টদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে, যাতে তারা নিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে না পারে। বিএনপি মহাসচিব ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের কথা বলে নির্বাচনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

প্রশাসনে রদবদল সম্পর্কিত বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বিএনপির কথামতো যেন এ ধরনের রদবদল করা না হয়, এ বিষয়ে আমরা কমিশনকে জানিয়েছি।

জোটের অপর নেতা জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। বিরোধী রাজনৈতিক জোটগুলো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। এ ব্যাপারে কমিশনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads