• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
‘তরুণ প্রজন্মের প্রথম ভোট হউক স্বাধীনতার পক্ষে’

হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

রাজনীতি

‘তরুণ প্রজন্মের প্রথম ভোট হউক স্বাধীনতার পক্ষে’

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন- ২০১৮ উপলক্ষে হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকালে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ শেখ সিটি শপিং সেন্টারে আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় তরুণ প্রজন্মের ভোট নিশ্চিত করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি আহবান জানিয়ে তাদেরকে বুঝাতে হবে, নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা দেশ ও জাতীর উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে হলে, নৌকা একমাত্র আশ্রয়ের ঠিকানা। তিনি বলেন, আমরা এতো উন্নয়ন করেছি যে, আমাদের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াতেই পারবেনা।

তিনি বলেন, অনেকে মনোনয়ন চেয়েছেন। আমি সবাইকে স্বাগত জানিয়েছি এবং এখনো তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এই নৌকা আমার নয়, এই নৌকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, এই নৌকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাই চোখ বুঝে নৌকা মার্কায় ভোট দিন।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন, আমি কাউকে দূরে রাখি নাই। আপনারাও দূরের কেউ নয়। আমি আপনাদের ভাই, আপনারাও আমার ভাই। আমাদের ভেতর মান-অভিমান থাকতেই পারে, কিন্তু নৌকার সাথে বেঈমানী নয়। আওয়ামী পরিবার কখনো নৌকার সাথে বেঈমানী করতে পারেনা। তিনি বলেন, প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফলাফল হাতে নিয়ে বাড়ী ফিরতে হবে। কোন অবস্থাতেই ভোট কেন্দ্র ছাড়া যাবেনা।

তিনি বলেন, ঘরে বসে বক্তব্য দেয়ার দিন শেষ। নেতা-কর্মীদের ভোট কেন্দ্র ছাড়া যাবেনা। ফলাফল নিয়েই কেন্দ্র থেকে বের হতে হবে এবং নৌকার বিজয় নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরতে হবে। এক ও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবেনা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আওয়ামী লীগ বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এখানে মান-অভিমান থাকতেই পারে, কিন্তু দলের সাথে বেঈমানি নয়। অতিতে যারা দলের সাথে বেঈমানি করেছে, তারা আস্তাকূড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নামে স্বাধীনতা বিরোধীরা মাঠে নেমেছে উল্লেখ করে জেলা নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে দলীয় নেতৃবৃন্দকে এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। প্রবীণ ও নবীণদের সমন্বয়ে এবং দলীয় চেইন অব কমান্ড মেনে চলতে হবে। নৌকার পক্ষে কাজ করতে গিয়ে কোথাও সমস্যার সৃষ্টি হলে, জেলা নেতৃবৃন্দের পরামর্শের নির্দেশনা দেবে।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক কার্য-নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক একেএম ফজলুল হক তার বক্তব্যে বলেন, আমার নেতা মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। আমরা তার নেতৃত্বে এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয় হবো।

হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, এখন আর ঘরে বসার সময় নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাঝে নৌকার মাঝি পাঠিয়েছে তাকে বিজয় করে এ আসনটি উপহার দিতে হবে। বিজয় আমাদের হবেই হবে। ইনশাআল্লাহ।

পৌর মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আওয়ামীলীগ মেজর রফিকের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। আমরা বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরবো।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাইনুদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক মুরাদের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খায়রুল কবির আবাদ, পৌর আওয়ামী লীগের কার্য-নির্বাহী কমিটির পক্ষে সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ আহম্মদ খসরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্য-নির্বাহী কমিটির পক্ষে সিনিয়র সহ-সভাপতি রোটা. আলী আশ্রাফ দুলাল।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্য-নির্বাহী কমিটির সদস্যদের পক্ষে হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জি. সফিকুর রহমান এবং ইউপি চেয়ারম্যান পক্ষে আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম মীর। সভার শুরুতেই কোরআন তেলওয়াত করেন, কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফেজ মো. শাহজালাল মজুমদার, গীতা পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার সাহা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুন, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন মজুমদার, জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ¦ জসিম উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভিন ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক হেলাল, আলহাজ্ব মো. সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমির লাল দত্ত, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব আসফাকুল আলম চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মো. শাহজামাল, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব কাজী কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্যাহ্ মৃধাসহ উপজেলা, শামসুজ্জামান মুন্সি, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মামুন, আহবায়ক আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের আহবায়ক হায়দার পারভেজ সুজন, যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, জসিমউদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলি, সাধারণ সম্পাদক আবু ইউছুফ গাজী মোহন, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বি, ছাত্রলীগ নেতা মিরাজুল ইসলাম সরোয়ার ও হান্নান গাজী, রাজু’সহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads