জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণার পর সরকার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জোটের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নতুন অফিসের কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. কামাল বলেন, ‘আমরা অনুভব করছি সরকার একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। ২০১৪ সালের মতো যেনতেন একটা নির্বাচন করে ১০ বছর কাটিয়ে দিয়েছে তারা।
তিনি বলেন, ‘সরকার ভেবেছিল এবার আমরা অপ্রস্তুত, কেউ নির্বাচনের অংশ নেব না। যখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, তখন দেখলাম তাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে কামাল হোসেন বলেন, স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার জন্য ভোট পাহারা দিলে সরকারের অপচেষ্টা মোকাবিলা করে তা মানুষের প্রাপ্য অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করা যাবে। এতে ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটবে।
ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। এবং ঐক্যফ্রন্টের একটাই ইশতেহার হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কামাল হোসেনের পক্ষে একটি লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকার দলীয় প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে দাপটের সঙ্গে আছে। কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা মাঠে যেতে পারছে না। ছোট-খাট অজুহাতে ঐক্যফ্রন্টের ১৪১টি আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে অভিযোগ করে বলা হয় সরকারের প্রার্থীদের বড় বড় ঋণখেলাপিদের মনোনয়ন বৈধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিরোধী দলের ওপর পুলিশি হয়রানি, মামলা, গ্রেফতার চলছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আ স ম আব্দুর রব, সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুস সালাম, রেজা কিবরিয়া, হাবিবুর রহমান তালুকদার।
