• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
প্রথম দিন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন যারা

প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৮০ জন, ৭৬ জনের আবেদন বাতিল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

রাজনীতি

১৬০ আপিল আবেদনের শুনানি, প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ৮০ জনের মধ্যে ৩৮ জন বিএনপির, ৭৬ জনের আবেদন খারিজ, ৪ আপিল স্থগিত

প্রথম দিন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন যারা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রথম দিনে ১৬০টি আপিল আবেদনের শুনানি হয়েছে। এতে মনোনয়ন বাতিল হওয়া ৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৭৬টি আবেদন খারিজ ও ৪ আপিলের পক্ষে কেউ উপস্থিত না থাকায় তা স্থগিত রাখা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনের অস্থায়ী এজলাসে সকাল ৯টা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে শুনানি চলে। প্রথম দফায় দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ১০০  প্রার্থীর শুনানি হয়। এর মধ্যে ৫৬ জনের আপিল গ্রহণ করে তাদের বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এরপর মধ্যাহ্ন বিরতি শেষে বেলা ৩টা থেকে ফের শুনানি শুরু হয়, চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানি করেন। এজলাসে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও উপস্থিত ছিলেন।

প্রতম দিনের শুনানিতে বিএনপিতে যোগ দেওয়া পটুয়াখালী-৩ আসনে গোলাম মাওলা রনি, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, বগুড়া-৭ আসনে মোর্শেদ মিল্টন, ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাকের মতো বিএনপি মনোনীত ৩৮ প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ নিতে আর কোনো বাধা থাকছে না।

তবে দলটির হেভিওয়েট প্রার্থী মীর নাছির উদ্দিন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মনোনয়ন বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে নির্বাচন কমিশন। শুনানি শেষে তাদের আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ২৮ নভেম্বর শেষ দিন পর্যন্ত সারা দেশে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা পড়ে ৩০৬৫ মনোনয়নপত্র। আর ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন কারণে অযোগ্য বিবেচনায় বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নসহ বাতিল হয় ৭৮৬ জনের প্রার্থিতা। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইসিতে আপিল করেন ৫৪৩ জন। আর আপিল করেননি ২৪৩ প্রার্থী।

আজ শুক্রবার শুনানি হবে আপিল আবেদনের ক্রমিক নম্বর ১৬১ থেকে ৩১০ পর্যন্ত এবং আগামীকাল শনিবার ৩১১ থেকে ৫৪৩ ক্রমিক নম্বর পর্যন্ত।

নির্বাচনে ফিরেছেন যারা : প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির মোর্শেদ মিল্টন, ঢাকা-২০-এর ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. তমিজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-২-এর বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে তৈয়ব আলি, পটুয়াখালী-৩-এর বিএনপি মনোনীত গোলাম মাওলা রনি, ঝিনাইদহ-২ আসনে বিএনপির আবদুল মজিদ, ঢাকা-১-এর বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক, জামালপুর-৪-এর ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, পটুয়াখালী-৩ মোহম্মদ শাহজাহান, পটুয়াখালী-১ মো. সুমন সন্যামত, মাদারীপুর-১ জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সিলেট-৩ আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, জয়পুরহাট-১ ফজলুর রহমান, পাবনা-৩ হাসাদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ-২ আবিদুর রহমান খান, নাটোর-১ আসনে বীরেন্দ্রনাথ সাহা, সিরাজগঞ্জ-৩ আয়নাল হক, গাজীপুর-২ মাহবুব আলম, গাজীপুর-২ জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ জেসমিন নূর বেবী, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম, খুলনা-৬ এসএম শফিকুল আলম, হবিগঞ্জ-২ আসনে মো. জাকির হোসেন, হবিগঞ্জ-১ জুবায়ের আহমেদ, ময়মনসিংহ-৭ জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আবদুল্লাহ আল হেলাল, ময়মনসিংহ-২ মো. আবু বকর সিদ্দিক, শেরপুর-২ এ কে মুখলেসুর রহমান, হবিগঞ্জ-৪ মাওলানা মোহাম্মদ সোলায়মান খান রাব্বানী, নাটোর-৪ আলাউদ্দিন মৃধা, কুড়িগ্রাম-৪ মো. ইউনুছ আলী, বরিশাল-২ আনিছুজ্জামান, ঢাকা-৫ সেলিম ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৩ একেএম মুজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-১ মো. তোজাম্মেল হক, সিলেট-৫ ফয়জুল মনির চৌধুরী, ময়মনসিংহ-৩ আহম্মদ তাইবুর রহমান, ঝিনাইদহ-৪ আবদুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ সৈয়দ আনুর আহমদ লিটন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ মো. মামুনুর রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আবু আসিফ, ঢাকা-১৪ মো. জাকির হোসেন, পঞ্চগড়-২ মো. ফরহাদ হোসেন, মানিকগঞ্জ-৩ মো. আতাউর রহমান, ময়মনসিংহ-৮ এমএ বাশার, ঢাকা-১৪ সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক, কুড়িগ্রাম-৩ আবদুল খালেক, কুড়িগ্রাম-৪ মো. মাহফুজার রহমান, চট্টগ্রাম-১ নূরুল আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মুখলেসুর রহমান, লক্ষ্মীপুর-১ মো. মাহবুব আলম, কুমিল্লা-৫ মো. ইউনুছ, চাঁদপুর-৫ মো. নেয়ামুল বশির, বরিশাল-২ মোয়াজ্জেম হোসেন, চট্টগ্রাম-৩ মোস্তফা কামাল পাশা, রংপুর-১ মো. আসাদুজ্জামান, গাইবান্ধা-৩ মো. আবু জাফর, কুড়িগ্রাম-৪ শাহ আলম, গাইবান্ধা-৩ মো. রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৫ মো. নাজিবুল ইসলাম (শর্ত সাপেক্ষে), যশোর-৬ সাইদুজ্জামান, নড়াইল-২ ফকির শওকত আলি, সিরাজগঞ্জ-৫ ফকির শওকত আলী, নাটোর-৪ আবদুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৬ এমএ মুহিত, সিরাজগঞ্জ-৪ আবদুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৫ মেজর (অব.) মনজুর কাদের, বগুড়া-৫ মো. আবদুর রউফ মণ্ডল জন, সিরাজগঞ্জ-৬ মো. হাবিবুর রহমান, বগুড়া-২ শফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৬ মোহাম্মদ ফয়সাল বিন, রাজশাহী-১ মো. আমিনুল হক, দিনাজপুর-১ মোহাম্মদ হানিফ, গাইবান্ধা-৩ আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৮ এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০ মো. আনিছুর রহমান, গাইবান্ধা-৪ আবদুর রহিম সরকার, কুমিল্লা-১১ মো. তাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৬ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৯ মোহাম্মদ দুলাল খান ও ঝিনাইদহ-৩ মো. কামরুজ্জামান স্বাধীন।

যাদের আপিল খারিজ : নাটোর-২ মো. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ নবাব মো. শামসুল হুদা, খাগড়াছড়ির আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, ঝিনাইদহ-১ আবদুল ওহাব, সাতক্ষীরা-২ আফসার আলি, মাদারীপুর-৩ মো. আবদুল খালেক, দিনাজপুর-২ মোকারম হোসেন, দিনাজপুর-৩ সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর-১ মো. পারভেজ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ এসএম খলিলুর রহমান, ফেনী-১ মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ ড. মিজানুল হক, ময়মনসিংহ-৪ আবু সাইদ মহিউদ্দিন, নেত্রকোনা-১ মো. নজরুল ইসলাম, পঞ্চগড়-১ মো. তৌহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-২ মো. এমদাদুল হক, খুলনা-২ এসএম এরশাদুজ্জামান, ঢাকা-১ মো. আইয়ুব খান, বগুড়া-৩ মো. আবদুল মুহিত, বগুড়া-৬ একেএম মাহবুবুর রহমান, রাঙামাটির অমর কুমার দে, বগুড়া-৪ আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), ঢাকা-১৪ সাইফুদ্দিন আহমেদ, সাতক্ষীরা-১ এসএম মুজিবর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ মো. বশির উল্লাহ, নওগাঁ-৪ মো. আফজাল হোসেন, মৌলভীবাজার-২ মহিবুল কাদির চৌধুরী, ফেনী-৩ হাসান আহমদ, ময়মনসিংহ-১০ মো. হাবিবুল্লাহ, জামালপুর-৪ মোহা. মামুনুর রশিদ, বগুড়া-২ আবদুল কাশেম, নীলফামারী-৪ মো. আমজাদ হোসেন, নীলফামারী-৩ মো. ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আখতার হোসেন, লক্ষ্মীপুর-২ আবুল ফয়েজ ভূইয়া, কুমিল্লা-১০ আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-২ মো. সারওয়ার হোসেন, কুমিল্লা- ৪ মাহবুবুল আলম, নোয়াখালী-৩ এইচআরএম সাইফুল ইসলাম, ফেনী-১ মো. নূর আহমদ মজুমদার, গাইবান্ধা-২ মো. মকদুবর রহমান, লালমনিরহাট-১ আবু হেনা মো. এরশাদ হোসেন, গাইবান্ধা-৩ মো. মনজুরুল হক, নীলফামারী-৪ আখতার হোসেন বাদল, লালমনিরহাট-৪ মো. জাহাঙ্গীর আলম, নীলফামারী-৪ মিনহাজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-৪ মো. আবুল হাশেম, রংপুর-৫ মমতাজ হোসেন, কুড়িগ্রাম-১ মো. ওসমান গণি, বাগেরহাট-৪ আমিনুল ইসলাম, মাগুরা-২ খন্দকার মেহেদী আল মাসুদ, যশোর-২ মোসা. সাবিরা সুলতানা, নড়াইল-১ শিকদার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, যশোর-২ হাজী মোহাম্মদ মহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা-১ শেখ মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, বগুড়া-৭ মো. সরকার বাদল ও মো. আবদুর রাজ্জাক,  সিরাজগঞ্জ-২ ইকবাল হাসান মাহমুদ, বগুড়া-৪ অধ্যাপক মো. জাহিদুর রহমান, নওগাঁ-২ আবদুর রউফ মান্নান, নওগাঁ-৫ মো. নজমুল হক, নাটোর-৪ ডিএম রনি পারভেজ আলম, নাটোর-৪ শান্তি রিবারু, সিরাজগঞ্জ-৩ সাইফুল ইসলাম শিশির, দিনাজপুর-৪ হাফিজুর রহমান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নজরুল ইসলাম ভূইয়া, কুমিল্লা-৫ মো. শাহী আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ মুশফিকুর রহমান, বান্দরবান-৩ মো. বকুল হোসেন, কুড়িগ্রাম-৪ মো. আবিদ আলভী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads