• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
আজ থেকেই সেনা চায় বিএনপি

লোগো বিএনপি

রাজনীতি

আজ থেকেই সেনা চায় বিএনপি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীদের ওপর হামলা থামাতে আজ থেকেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ দাবি করেন। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে পরিকল্পিতভাবেই এসব হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আগামী ২৩ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েনের তারিখ ধার্য করা হয়েছে। আমরা শুনতে পেয়েছি এই তারিখটিও আরো পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে নির্বাচনী মাঠ ফাঁকা করার জন্যই সেনাবাহিনী মোতায়েনে বিলম্ব করছে। সরকারের মদদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর নগ্ন হামলা এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের তারিখ পেছানো ষড়যন্ত্রমূলক। চলমান নির্বাচনী সহিংসতা ও সন্ত্রাস দমনে আজ থেকেই সারা দেশে সেনা মোতায়েনের জোর দাবি জানান তিনি।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, টার্গেট করে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা, হত্যা, আঘাত ও শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। বিএনপিকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরাতেই এসব হামলা হচ্ছে। বর্তমানে সারা দেশে আতঙ্কজনক অবস্থা বিরাজ করছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ঘর থেকে বের হলেই হামলা চলছে। ঘরের ভেতর থাকলেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। পার্টি অফিস থেকে গ্রেফতার করছে। অপরদিকে পুলিশ প্রটোকলে প্রচারণা চালাচ্ছে আওয়ামী প্রার্থীরা। বাংলাদেশের মানুষ এমন অদ্ভুত নির্বাচন আগে কখনো দেখেনি। এহেন সহিংসতার মাত্রা বিস্তারে সেনাবাহিনী দ্রুত মোতায়েন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

রিজভী বলেন, গত সোমবার বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলাসহ ১৮টি জেলায় বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের পর আজও (গতকাল) দেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় মির্জা আব্বাস, মির্জা ফখরুল, আমীর খসরু মাহমুদসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে ধরেন রিজভী।

যতই হামলা-নির্যাতন করা হোক নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত বিএনপি মাঠে থাকবে বলে রিজভী জানান। তিনি বলেন, পরিষ্কার বলতে চাই- যত বাধা-হামলা হোক না কেন নির্বাচনী মাঠ থেকে বিএনপিকে সরানো যাবে না। বরং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে, ইউনিয়নে ইউনিয়নে, থানায় থানায় সাধারণ জনগণকে নিয়ে বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সব বাধা অতিক্রম করে নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রাখবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads