• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

লোগো ছাত্রলীগ

রাজনীতি

ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ জানুয়ারি ২০১৯

আজ ৪ জানুয়ারি। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গত ৭০ বছর ধরে দেশের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এ সংগঠনটির ইতিহাস।

ভাষা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা আছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে সংগঠনটি ঐতিহাসিক ও উজ্জ্বল নেতৃত্ব দিয়েছে। বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যেই মূল দল আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের এ সংগঠনটি। তখনকার তরুণ নেতা শেখ মুজিবের প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতা একঝাঁক মেধাবী তরুণের উদ্যোগে সেদিন যাত্রা করে ছাত্রলীগ। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরে জাতীয় রাজনীতিতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখনো দিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। বর্তমান জাতীয় রাজনীতির অনেক শীর্ষ নেতার রাজনীতিতে হাতেখড়িও হয়েছে ছাত্রলীগ থেকে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটি উৎসবমুখর করতে অন্যবারের মতো এবারো নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি নিয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। এবার টানা চার দিন নানা কর্মসূচি উদযাপন করবেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর সকাল ৭টায় ঢাকার ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ উত্তর ও দক্ষিণসহ বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীদেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে কেক কাটা ও জুমার নামাজের পর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন হবে।

আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শোভাযাত্রা করা হবে (ঢাকার অন্তর্গত সব শাখার জন্য প্রযোজ্য)। দেশজুড়ে অন্য সব শাখাকে সুবিধাজনক সময়ে শোভাযাত্রা করার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলাসংলগ্ন বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন হবে। পরের দিন ৮ জানুয়ারি সকাল ১০টায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হবে। ওইদিন বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads