• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে যা যা করণীয় করব : ড. কামাল

শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ছেলে রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুতে আয়োজিত শোকসভায় ড. কামাল হোসেন

ছবি: বাংলাদেশের খবর

রাজনীতি

ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে যা যা করণীয় করব : ড. কামাল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে বলে দাবি করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে যা যা করণীয় তা অন্তত করব।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ছেলে রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুতে আয়োজিত শোকসভায় ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।

ড. কামাল বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে যা ঘটেছিল তা প্রহসন। অনেকেই বলেছেন এটা নাটক। এটা দুঃখজনক। কেন এসব করতে হবে?

তিনি বলেন, নির্বাচনের পর দিন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হলো, ‘আমরা আরো ৫ বছর ক্ষমতায় থাকব।’ এ কথা বলে তারা ১৬ কোটি মানুষকে অপমান করেছে। এটা মেনে যায় না।

অনুষ্ঠানে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, যারা কারাগারে আছে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া তাদের মুক্ত করা যাবে না। আজকে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের মধ্যে সেই মনুষত্ব নেই।

তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ১৬ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোথাও কেউ প্রতিবাদ করল না। এটা কি শুধু কোনো রাজনৈতিক নেতা করবে, কোনো রাজনৈতিক দল করবে? এটা হয় না।

তিনি বলেন, সারা দেশে বর্তমানে এক লাখ লোক কারাগারে আছে। এদেরকে মুক্ত করতে আসুন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দেশের কল্যাণে, স্বাধীনতার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে জনগণ রক্ত দিয়েছিলেন সেই চেতনায় রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর মানুষের ভোটাধিকারের কবর রচিত হয়েছে। এটার কারণ খুঁজতে বিচারিক কমিশন গঠন করে তদন্ত করতে হবে। এর রহস্য উদঘাটন করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকেই। তিনি দুইটা কাজ করতে পারেন। এর মধ্যে একটা হচ্ছে বিচারিক তন্ত অথবা আবারো সবার সঙ্গে সংলাপ। এতে রাজনৈতিক সমাধান বের হয়ে আসবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরও দেশের রাজনীতিতে সহাবস্থান ছিলো। শাহ আজিজুর কিংবা ফজলুল কাদের চৌধুরী কারাগারে আটক থাকার সময়ে বঙ্গবন্ধু তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তাদের খোঁজখবর নিতেন। তখন রাজনীতি ব্যবসা ছিলো না। সেই রাজনীতি ছিলো মানুষের কল্যাণে। এখন ভেদাভেদ বাড়ছে, মানুষের জীবনযাত্রায় বৈষম্য বাড়ছে। এটা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছিলো না।

শোকসভায় গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আ ম সা আমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads