• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল ঘোষণা

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ।

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল ঘোষণা

উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও বাম ছাত্র সংগঠনের

  • ঢাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান রাহাতকে সহ-সভাপতি ও শাহরিয়ার রহমান বিজয়কে সাধারণ সম্পাদক করে এ নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে প্যানেল ঘোষণা করে ছাত্রলীগ। এছাড়া ক্যাম্পাসে সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান, ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে করা এবং হলে হলে গেস্টরুম-গণরুমে নির্যাতন বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে উপাচার্য কার্যালয় ঘেরাও করেছে বাম ছাত্র সংগঠনের দুই জোট প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য।

ডাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করলেও ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হবে।

তবে মধুর ক্যান্টিনে আরেক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল জানায়, দাবি আদায়ের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান জানান, আগামীকাল (আজ) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু হলেও এখনই ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র ছাত্রদল সংগ্রহ করবে না। আমরা নির্বাচনের ব্যাপারে ইতিবাচক থাকতে চাই।

প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, প্রশাসনের কাছে এখনো আমরা দাবি করছি টেকসই সহাবস্থান বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক। এই দাবি আমাদের এখনো আছে। যদি প্রশাসন একগুঁয়েমি করে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমরা প্রতিবাদ জানাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ জানান, ছাত্রদের হলেই ভোটকেন্দ্র করা হবে।

এদিকে একাডেমিক ভবনে ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপনসহ ৬ দফা দাবিতে উপাচার্য কার্যালয় ঘেরাও করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্রাজবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য। তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ক্যাম্পাস ও হলগুলোকে সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত করে সংগঠনগুলোর সহাবস্থান এবং শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। গেস্টরুম-গণরুমে নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সব নির্যাতনের বিচার করতে হবে। প্রয়োজন ও মেধার ভিত্তিতে প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে প্রথম বর্ষ থেকে হলে বৈধ সিটের ব্যবস্থা করতে হবে। ডাকসু ও হল সংসদ ফি প্রদানকারী শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। হলে অবস্থানরত ও সংযুক্ত সব শিক্ষার্থীর ভোটাধিকার সুরক্ষায় ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে স্থাপন করতে হবে। শ্রেণিকক্ষে প্রচার, নির্বাচনী সমাবেশে জাতীয় নেতাদের অংশগ্রহণে বাধাসহ আচরণবিধির অগণতান্ত্রিক বিধান বাতিল করতে হবে।

গতকাল দুপুর ১২টার পর মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি মিছিল বের করেন দুই জোটের নেতাকর্মীরা। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। তারা উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

সবশেষ ডাকসু নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালে। তিন দশক পর আদালতের নির্দেশে ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আদালতের নির্দেশে মার্চের মধ্যেই নির্বাচন আনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে, আচরণবিধি চূড়ান্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।

গত ১০ জানুয়ারি ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন ও পরিমার্জনে গঠিত কমিটি ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেয়। ১৪ জানুয়ারি ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা গঠনতন্ত্রের কোথায়, কী ধরনের পরিবর্তন চান সে বিষয়ে তাদের লিখিত মতামত জমা দেন কমিটির কাছে। ২৯ জানুয়ারি ডাকসুর গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। এরপর ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এসএম মাহফুজুর রহমান নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী আগামী ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads