• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি চলছে

চলছে ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি চলছে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের অনিয়ম নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি চলছে। শুনানিতে কুড়িগ্রাম-২ আসনের গণফোরাম ও ধানের শীষের প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন বলেন, ৩০শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয় নাই। একটি কেন্দ্রে ধানের শীষে ভোট পড়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীরা ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে ব্যালট পেপার পুড়িয়ে ফেলেছিল। সেদিন তারা ব্যালট নয় গনতন্ত্রকে পুড়িয়েছিল। সংবিধান ও জনগনের ভোটের অধিকারকে পদদলিত করেছে।

তিনি বলেন, ভোটের আগের দিন আমার স্থানীয় বাসার সামনে পুলিশের চৌকি বসিয়ে ধানের শীষের নেতা কর্মীদের বাসায় আসতে বাধা দিয়েছে, নির্বিচার গ্রেফতার করেছে। ছাড়াতে গেলে বলেছে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত সম্ভব নয়।

শুক্রবার সকাল ১০টার পর সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে শুরু হওয়া গণশুনানি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, গণশুনানির আগে ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। গণশুনানিতে ছয়জন জুরি বোর্ডের সদস্য রয়েছেন, যারা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নন, তারা ধানের শীষের প্রার্থীদের কাছে ভোটের অনিয়মের বর্ণনা শুনবেন। গণশুনানিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত আছেন।

৩০০ সংসদীয় আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরাও ভোটকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া নানা অনিয়মের বর্ণনা দেবেন।

জামায়াত আর মহাজোট ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের নেতাকে গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রথম অধিবেশন দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হবে। এরপরে মধ্যাহ্নভোজ ও নামাজের বিরতি। দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে বেলা ২টার দিকে। শেষ হবে ৪টার দিকে। সবশেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads