• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
জীবদ্দশায় এটাই আমার শেষ বক্তব্য

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

জীবদ্দশায় এটাই আমার শেষ বক্তব্য

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ মার্চ ২০১৯

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এ দেশে আমার মতো অত্যাচারিত, নিষ্পেষিত ব্যক্তি আর নেই। আমার বিপক্ষে রায় দেওয়ার জন্য ৭ বার জজ পরিবর্তন করা হয়েছে। বিনা বিচারে আমাকে ছয় বছর কারাগারে রাখা হয়েছে। অত্যাচার আমাকে দমাতে পারেনি। হয়তো জীবদ্দশায় এটাই আমার শেষ বক্তব্য।

গতকাল বুধবার ছিল সাবেক এই রাষ্ট্রপতির ৯০তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলস মিলনায়তনে ৯০ পাউন্ডের একটি কেক কেটে তার ৯০তম জন্মদিন পালন করেন নেতারা। সেখানে এরশাদ এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ আরো বলেন, দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলাম, কেউ পাশে ছিল না। শত অত্যাচার আমাদের দমাতে পারেনি। শুধু মনের জোরে এগিয়ে চলছি, শত ষড়যন্ত্র আমাদের ধ্বংস করতে পারেনি। অবিচার আর অত্যাচারে যে দল ভেঙে পড়ে না, সে দলকে কেউই ধ্বংস করতে পারবে না। তোমরা জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করে তোলো। ইনশাল্লাহ আগামীতে এ জাতীয় পার্টি ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে যাবে।

জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ এমপি বলেন, সবাই পার্টির চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া করুন, যাতে তিনি সুস্থ হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯ বছরে উন্নয়নের যে রেকর্ড গড়েছেন তা কেউ ভাঙতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু দেশটি গড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় বঙ্গবন্ধু পাননি। কিন্তু দেশ গড়ার জন্য এরশাদের অসংখ্য কীর্তি অক্ষয় হয়ে আছে। নেতাকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) পল্লীবন্ধুর কখনোই ভুল চিকিৎসা হয়নি। সিএমএইচে কখনোই ভুল চিকিৎসা হতে পারে না।

পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেন, আজ শপথ নেওয়ার দিন। আমরা শপথ নিচ্ছি, নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বই। জাতীয় পার্টি এরশাদের আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাবে। এ সময় জিএম কাদের পার্টি চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধুর জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সৈয়দ আবদুল মান্নান, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, মাসুদা এম. রশিদ চৌধুরী এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, মো. আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার, লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলহাজ মো. মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads