• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই সফলতা পাব: ড. কামাল

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই সফলতা পাব: ড. কামাল

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ এপ্রিল ২০১৯

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ পরিবর্তন আনতে সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

নিজের ৮৩তম জন্মদিনে তিনি আরও আশা প্রকাশ করে বলেন, গঠনমূলক রাজনীতির মাধ্যমে দেশে কার্যকর গণতন্ত্র নিশ্চিত করা যাবে।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে পার্টি অফিসে গেলে গণফোরামের নেতা-কর্মীরা ড. কামালকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

এরপর সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন গণফোরাম প্রধান ড. কামাল হোসেন।

জন্মদিন উদযাপনের অনুষ্ঠান শেষে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ড. কামাল বলেন, ‘দেশের জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে সফল হবে। কোটা (সংস্কার) আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যেসব তরুণেরা সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের জন্য সামনের দিনগুলোতে উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। আমরা স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তির আগেই সফল হব।’

জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুসারে দেশের গুণগত পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গঠনমূলক রাজনীতি ও রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা জনগণের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব।’

ড. কামাল বলেন, জনগণ একটি কার্যকর গণতন্ত্র চায় এবং দেশের গুণগত পরিবর্তনে সকল পর্যায়ে তাদের কার্যক্রম বজায় রেখে অংশগ্রহণ চায়।

গণফোরমা এখন শক্তিশালী দল উল্লেখ করে ড. কামাল দলের নেতা-কর্মীদের প্রত্যেক ইউনিয়ন, থানা ও জেলায় জনগণকে জড়িত করে সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

‘আমাদের সংগঠনকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে সকল স্তরের মানুষ এটিকে তাদের নিজস্ব সংগঠন ভাবতে পারে’, যোগ করেন তিনি।

গণফোরাম প্রধান দলে সদস্য বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সকল শ্রেশি ও পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে শক্তিশালী সংগঠন ছাড়া অর্থপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা ও দেশে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। আমরা যদি আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পরি তাহলে গুণগত পরিবর্তন নিশ্চিত করতে পারব বলে আমি মনে করি।’

প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগী ড. কামাল ১৯৩৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।

মানবাধিকার কর্মী হামিদা খানমের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এ দম্পতির দুই কন্যা হলেন- সারা হোসেন ও দিনা হোসেন।

বিশ্বব্যাপী পরিচিত এ আইনজ্ঞ ১৯৫৭ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুরিসপ্রুডেন্সে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৫৮ সালে ব্যাচেলর অব সিভিল ল ডিগ্রি লাভ করেন। পরে লিংকনস ইনে বার-অ্যাট-ল অর্জনের পর ১৯৬৪ সালে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে পিএইচডি করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকা ড. কামাল ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গণফোরাম নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি বিএনপিসহ অন্য কয়েকটি দলকে সাথে গঠন করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনে এ জোট আটটি আসন পায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads