• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
‘আঘাত করে আ.লীগকে কেউ দমাতে পারেনি’

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

‘আঘাত করে আ.লীগকে কেউ দমাতে পারেনি’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ জুন ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ এবং দেশের কথা বলার কারণে বারবার আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর অনেক আঘাত এসেছে, নির্যাতন করা হয়েছে নেতাকর্মীদের। কারণ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ মানুষের কথা বলে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে কেউ দমাতে পারেনি, এখনো টিকে আছে। যত বেশি আঘাত এসেছে, দল তত বেশি শক্তিশালী হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই বাংলাদেশ ও বঙ্গভূমির একটা যোগসূত্র আছে। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন স্বাধীনতা হারায় বাংলা।

মীরজাফরের ষড়যন্ত্রে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে ব্রিটিশ বেনিয়ারা এই ভূখণ্ড শাসন করেছে। এরপর থেকে মীরজাফর একটা গালিতে পরিণত হয়েছে। দুই শ বছর শাসন করেছে ব্রিটিশরা। বাংলা স্বাধীনতা হারানো দিনটা ছিল ২৩ জুন, আর আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। আওয়ামী লীগই এই ভূখণ্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। স্বাধীনতার পর একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছে এই দল। সাড়ে সাত কোটি মানুষ-এর মধ্যে এক কোটি শরণার্থী ও তিন কোটি গৃহহারা। তাদের অন্ন-বস্ত্র নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধু নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পাকিস্তানিরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে জানা যায়, দলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক অত্যাচার-নির্যাতনে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। ১৯৫৭ সালে ভাসানী দল ভেঙে ন্যাপ গড়ে তোলেন। এ সময়ে বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী ছিলেন। তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরেছেন। দলকে সংগঠিত করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে নেতাকর্মীদের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি আছে, তা খুঁজে খুঁজে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পরও তা থেমে থাকেনি। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর ফের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন নেমে আসে। তবে শত অত্যাচার-নির্যাতনেও আওয়ামী লীগ ভেঙে পড়েনি। বরং যত বেশি আঘাত এসেছে, আওয়ামী লীগ ততই শক্তিশালী হয়েছে। হীরা যেমন যত বেশি কাটা হয় তত বেশি উজ্জ্বল হয়, আওয়ামী লীগও তেমন। এর পেছনে রয়েছে মানুষের জন্য আওয়ামী লীগের  কর্তব্যবোধ, দায়িত্ববোধ, ভালোবাসা ও ত্যাগ-তিতিক্ষা। এ জন্যই দলটি ৭০ বছর ধরে টিকে আছে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন প্রমুখ। যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads