• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই : মির্জা ফখরুল

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই : মির্জা ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ জুলাই ২০১৯

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার অবস্থায় চলে এসেছে। সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসা মানে খালেদা জিয়ার মুক্তি। তার মুক্তি হলে, সেটি হবে গণতন্ত্রের মুক্তি, গণমাধ্যমের মুক্তি, গণমানুষের মুক্তি’।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশন’ কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সাজা দেওয়া হলো, উচ্চ আদালত তা বাড়িয়ে ১০ বছর করে দিলেন। অথচ তিনি এ মামলায় জামিনযোগ্য হলেও তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। আবার দেখলাম, পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে গুলির ঘটনার এত বছর পর এ মামলায় নতুন করে চার্জশিট দিয়ে নতুন নতুন নাম দিয়ে রায় দেওয়া হলো। যেখানে ৯ জনকে ফাঁসি, অনেককে যাবজ্জীবনসহ একাধিক ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হলো। এ রায় প্রমাণ করে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। শাসক দলের যা ইচ্ছা তাই তারা করছে। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচিত না, তাই তারা দেশে মেগা প্রকল্প করছে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করতে। জনগণের জন্য তারা ভাবছে না। এলএনজি আমদানিতে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। জনগণের পকেট কাটার মাধ্যমে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করার ভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে শাসকগোষ্ঠী।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, আজ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। অথচ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। যে নেত্রী সারাটা জীবন দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ শিকার করেছেন, আজ সেই নেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে। জামিনযোগ্য মামলায় সম্পূর্ণ অনৈতিক, অমানবিক এবং বেআইনিভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক শওকত মাহমুদে সভাপতিত্বে আয়োজিত অনশনে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ, ড্যাবের আহ্বায়ক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএফইউজের একাংশ সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা সেলিম ভূইয়া প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads