• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
হরতাল এখন আন্দোলনের অকার্যকর হাতিয়ার : কাদের

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

হরতাল এখন আন্দোলনের অকার্যকর হাতিয়ার : কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ জুলাই ২০১৯

হরতাল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অকার্যকর হাতিয়ার। হরতালে মরিচা ধরে গেছে। তাই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ডাকা অর্ধদিবস হরতালে জনগণের সাড়া ছিল না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গতকাল রোববার দলের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতাল নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ কোথাও হরতাল হয়নি। জনজীবনে হরতালের কোনো প্রভাব ছিল না। রাস্তাঘাট ও পরিবহন ব্যবস্থা সবকিছু ছিল স্বাভাবিক।

গ্যাসের মূল্য বাড়ানো স্বাভাবিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরও ভর্তুকি দিতে হবে। গ্যাসের দাম বাড়ানো বাস্তবসম্মত। গ্যাসের দাম বাড়ানোয় ভোটের রাজনীতিতে নেগেটিভ প্রভাব পড়বে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা মাথায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। দেশের অর্থনীতির কথাও আমাদের ভাবতে হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘এলএনজি ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে’ অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা বিরোধীদের গতানুগতিক বক্তব্য। একই ধরনের বক্তব্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞরাও দিচ্ছেন জানালে তিনি পাল্টা সেই বিশেষজ্ঞদের নাম জানতে চান।

স্থানীয় নির্বাচনে যারা দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘ডিসিপ্লিন ব্রেক করার আশকারা পেলে এর প্রবণতা বাড়ে। তাই আমরা এর লাগাম টেনে ধরতে চাই। তাদের বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কেউ এমপি ও মন্ত্রী হয়ে দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে তাকে মনোনয়ন দেওয়া নাও হতে পারে। কম গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হতে পারে। নানারকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

‘সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তি আটকে রেখেছে’, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন ও কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। খালেদা জিয়ার বিষয়ও বিচার বিভাগের বিষয়।

বৈঠকের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের জানান, বৈঠকে ১৫ আগস্ট সামনে রেখে মাসব্যাপী কর্মসূচি, জাতীয় সম্মেলনের সাংগঠনিক প্রস্তুতি, বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কারো কারো অবস্থানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, আইনবিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads