• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
জাতীয় ফ্রন্ট থেকে জাতীয় পার্টি

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

জাতীয় ফ্রন্ট থেকে জাতীয় পার্টি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ জুলাই ২০১৯

দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে বেশি খণ্ডিত হয়েছে জাতীয় পার্টি। কোনো রাজনৈতিক দল সম্ভবত এত বেশি দফায় ভাঙনের শিকার হয়নি। এই পার্টির উৎপত্তি জাতীয় ফ্রন্ট থেকে। এই দলটিকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে, রয়েছে।

১৯৮৫ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদের নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় ফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল। জোটের শরিকদল হিসেবে ছিল জনদল, ইউপিপি, ডিএল, গণতান্ত্রিক পার্টি, বিএনপি (শাহ) ও মুসলিম লীগ (সা)। রাজনৈতিক দলের বাইরেও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক নেতা ফ্রন্টে যোগ দিয়েছিলেন। জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের ৪ মাস ১৪ দিনের মাথায় ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি ফ্রন্ট বিলুপ্ত করে জাতীয় পার্টি গঠন করা হয়। জাতীয় ফ্রন্টের ধানমন্ডির কেন্দ্র্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে শরিক দলের নেতারা তাদের নিজেদের দল বিলুপ্ত করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। নবগঠিত পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং মহাসচিব নিযুক্ত হন অধ্যাপক এম এ মতিন। পার্টির কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আনোয়ার জাহিদ। ২১ সদস্যের প্রেসিডিয়াম, ৫৭ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটিসহ ৬০১ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

পার্টি গঠনের ঘোষণায় বলা হয়, ‘দেশের সকল গণতন্ত্রকামী জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোর বিভক্তির প্রবণতা কাটিয়ে একটি একক রাজনৈতিক দলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা থেকে জাতীয় পার্টি গঠন করা হয়েছে।’ নানা কারণে জাতীয় পার্টির মতো আর কোনো রাজনৈতিক দল সম্ভবত এত বেশি দফায় ভাঙনের শিকার হয়নি। প্রথম দল জাতীয় পার্টি থেকে বের হয়ে গিয়ে পৃথক জাতীয় পার্টি (মিম) গঠন করেন মিজানুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। এরপর আরেক দফায় ভাঙনের শিকার হয় নাজিউর রহমান মঞ্জুর ও কাজী ফিরোজ রশীদের নেতৃত্বে। সর্বশেষ এরশাদকে বহিষ্কার করে নিজে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন প্রয়াত কাজী জাফর আহমেদ। বর্তমানে জাতীয় পার্টি (জাপা), জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি এবং জাতীয় পার্টি (জাফর) নামে চারটি ধারা বিদ্যমান থাকলেও মূল দল হিসেবে টিকে আছে এরশাদের জাতীয় পার্টিই।  চারটি খণ্ডিত অংশের মধ্যে জাতীয় পার্টি এখন প্রধান বিরোধী দল। জাতীয় পার্টি-জেপি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অপর দুই অংশ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) এবং জাতীয় পার্টি (জাফর) বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে যুক্ত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads