ডেঙ্গু ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়ে সরকার সবকিছু গুজব বলে চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া ছাড়া কোনও পথ নেই। কারণ তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন 'বারবার বাধাগ্রস্ত' করার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম নামের একটি সংগঠন।
খসরু বলেন, ‘সরকারের কাছে তো সবকিছু গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া ছাড়া কোনো পথ নেই। তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার কারণ যাদেরকে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে আছে তাদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলছে বিএনপির অফিস নাকি গুজবের ফ্যাক্টরি। সমস্যাটা হচ্ছে যারা আজকে জনগণকে বাহিরে রেখে উন্নয়নের নামে ক্ষমতা দখল করেছে তারা জনগণের সম্মুখীন হতে পারছেন না। তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়। জনগণের কাছে তারা জবাবদিহি করতে চায় না।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে খসরু বলেন, ‘কোনটা গুজব ডেঙ্গু মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এটা কি? মহিলাদের প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করা হচ্ছে এটা কি গুজব? শিশুদের প্রতিনিয়ত নির্যাতন করা হচ্ছে এটা কি? শেয়ারবাজার থেকে গত দুই সপ্তাহে ২৭ হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে এটা কি গুজব? ব্যাংক লুট করে খালি করে দেওয়া হয়েছে এটা কি গুজব? গুম খুন হত্যা করা হচ্ছে এটাও কি গুজব? নির্বাচন কমিশন থেকে হজ পর্যবেক্ষণে গেছে এটাও কি গুজব?’
কারাবন্দী দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে খসরু বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ এখন এক বাক্যে চাচ্ছে। আমি শুধু এটুকুই বলব দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আশা করা যায় না। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী নির্যাতিত নেতারা যেভাবে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে বেগম জিয়ার মুক্তিও একই প্রক্রিয়ায় হবে। তার মুক্তি আন্দোলনের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নাসির হাজারীর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় প্রতিবাদী যুব সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, শাহ মোহাম্মাদ নেছারুল হক, সাবিরা নাজমুল প্রমুখ বক্তব্য দেন।