গত পঞ্জিকা বছরে বিএনপির আয় বেড়েছে। এ নিয়ে টানা তিন বছর ধরে আয়ের মুখ দেখছে বেশ কয়েক বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে ২০১৮ পঞ্জিকা বছরে দলটির দেওয়া আয়-ব্যয়ের হিসাব থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে দলের আয় ব্যয়ের-হিসাব জমা দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এবার দলের আয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা। এখন পর্যন্ত দলীয় তহবিলে মোট উদ্বৃত্ত রয়েছে ৬ কোটি ১৩
লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ টাকা। বিএনপি নেতা আলাল বলেন, মনোনয়ন ফরম বিক্রি, দলীয় সদস্যদের মাসিক চাঁদা ও এককালীন অনুদান থেকে এ আয় হয়েছে। আর অফিসের বিভিন্ন খরচ, ইফতার পার্টি, পোস্টার ছাপানো, নির্বাচনী ব্যয় বাবদ এবং নির্যাতিত নেতাদের সহায়তা করা এবং বন্যায় ত্রাণকাজে ব্যয় হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি থেকে আমাদের সর্বাধিক আয় হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত অনুদান আছে, সদস্য এবং পদধারী অন্যদের চাঁদাও আছে। সব মিলিয়ে গত বছরের চেয়ে এবার আয় একটু বেশি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ২০১৭ সালে বিএনপির মোট আয় হয় ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা। আর ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা ব্যয় দেখায় দলটি। আর ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা দলের ব্যাংক হিসাবে রয়েছে।
২০১৬ সালে দলটি আয় করে ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা। এই হিসাবে ১৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ টাকা আয় বেশি হয়েছে।
এর আগের তিন বছর বিএনপি ঘাটতিতে ছিল। ২০১৫ পঞ্জিকা বছরে বিএনপি ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতি দেখায়। ওই সময় দলটির আয় দেখানো হয় এক কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ টাকা। আর ব্যয় দেখানো হয় এক কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা। ২০১৪ পঞ্জিকা বছরে দলটি বিভিন্ন খাতে দুই কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা আয় দেখিয়েছে। আর ব্যয় দেখায় তিন কোটি ৫৩ লাখ তিন হাজার টাকা। ওই সময় আয়ের চেয়ে ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৬ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে দলটির। ২০১৩ পঞ্জিকা বছরে বিএনপির ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকা আয়ের বিপরীতে ২ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা ব্যয় দেখায়। সেই সময় ঘাটতি ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা
