• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

রাজনীতি

চবিতেও শোভন-রাব্বানীর প্রভাব

  • জুবাইর উদ্দিন, (চবি)
  • প্রকাশিত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

২০১৮ সালের ১১ মে থেকে ছাত্রলীগের নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৮ বছর বয়সের যে সীমা, তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের কমিটির ক্ষেত্রে মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। কমিটি হওয়ার পর থেকেই সভাপতি পদ পাওয়া রেজাউল হক রুবেলকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব ও বয়সসীমা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেজাউল হক রুবেলের সার্টিফিকেট অনুযায়ী বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে। তবে নিজের ফেসবুক ওয়ালে বয়স গোপন রেখেছেন তিনি। রেজাউল হক নিজের ফেসবুকে তার জন্ম তারিখ লিখেছেন ১৯৮৯ সালের ১৩ অক্টোবর। সে হিসাবে তার বয়স দাঁড়ায় ২৯ বছর ১১ মাস।

পরিসংখ্যান বিভাগের সূত্রে জানা যায়, রেজাউল হক রুবেল ২০০৬-০৭ সেশনে ভর্তি হওয়ায় তার ছাত্রত্ব থাকার কথা নয়। অনেক সময় মানোন্নয়ন থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ পরীক্ষার অনুমতি দিয়ে বিভাগকে চিঠি দেয়। কিন্তু গত দেড় বছরে রেজাউল হকের নামে কোনো চিঠি পায়নি। ১৩ জুলাই রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী তার নিজের ফেসবুক ওয়ালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন। প্রায় ২০ মাস পর হওয়া এ কমিটিতে রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও ইকবাল হোসেন টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি রেজাউল হক রুবেল শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের অনুসারী। তিনি ২০০৬-০৭ সেশনের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী। ইকবাল হোসেন টিপু সিটি মেয়র আ জ ম নাসিরউদ্দীনের অনুসারী। তিনি ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী। আগের কমিটিতে রেজাউল হক সহ-সভাপতি এবং ইকবাল হোসেন টিপু উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। এই কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন কমিটি গঠনে নেতাকর্মীদের মতামত নেওয়া হয়নি। তবে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকলেও সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

চবি ছাত্রলীগের এ শাখার সর্বশেষ কমিটি হয়েছিল ২০১৫ সালের ২০ জুলাই। অন্তর্কোন্দলের কারণে কমিটি গঠনের সাত মাসের মাথায় স্থগিত করা হয়। তবে পাঁচ মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের ৪ মে রাতে সংঘর্ষের পর আবারো এ শাখার কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি। দুই দফায় স্থগিত থাকার পর ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর এ শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে কমিটি ছাড়াই চলছিল এ শাখার কার্যক্রম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads