• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
অপেক্ষা করুন, গরম খবর আসছে

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

অপেক্ষা করুন, গরম খবর আসছে

কাউন্সিলে স্বচ্ছ ইমেজের নেতারা  নেতৃত্বে আসবেন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ অক্টোবর ২০১৯

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিলের আগে সারপ্রাইজ দেওয়ার মতো ‘গরম খবর’ আসছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আগামী ডিসেম্বরের ২১তম কাউন্সিলে স্বচ্ছ ইমেজের নেতারা দলের নেতৃত্বে আসবেন। স্বচ্ছ ইমেজের নেতারা থাকবেন কমিটিতে। আর এ জন্য সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপেক্ষা করুন, গরম খবর আসছে। তবে সেই গরম খবর কী সেটি তিনি স্পষ্ট করেননি। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। কী ধরনের গরম খবর হতে পারে—জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যখন খবরটা পাবেন তখন দেখবেন। আগে বলে দিলে সারপ্রাইজ থাকবে না। আমাদের সাংগঠনিক সফর শুরু হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলাওয়ারী প্রতিনিধি সম্মেলন হচ্ছে। কাদের বলেন, আগে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলা কমিটির সম্মেলন হবে, পরে জাতীয় সম্মেলন।

এ সম্মেলনে দলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরাই নেতৃত্বে আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বচ্ছ ইমেজ যাদের আছে, তারাই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসবেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিতর্কিতদের কমিটিতে জায়গা দেবেন না। ওবায়দুল কাদের বলেন, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনগুলোর সম্মেলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে। তিনি ভারত যাওয়ার আগেই এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এবার নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া যাদের ক্লিন ইমেজ ও উজ্জ্বল ভাবমূর্তি আছে তারাই নির্বাহী কমিটিতে আসবেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের মধ্যে চাঁদাবাজ, ক্যাসিনো পরিচালনাকারী ও ধান্দাবাজদের সম্পর্কে আপনারা এত দিন লেখালেখি করেননি কেন। এখন আমরা অভয়ের দরজা খুলে দিয়েছি, এখন আপনারা লিখুন।

বেলা ১১টায় সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও বিআরটিএর মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিদর্শন নিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও হঠাৎ কর্মসূচি বাতিল করে সচিবালয়ে ব্রিফ করার জন্য সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। শেষদিকে সাংবাদিকরা জানতে চান—শুরুতে বলেছিলেন একটা গরম খবর, সময় এলে জানাবেন বলেছেন। কী ধরনের গরম খবর? অভিযান নিয়ে কোনো গরম খবর? সম্রাটকে (যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট) নিয়ে কোনো খবর? তার আপডেটটা কী? চলমান অভিযানের মধ্যে যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে নিয়ে একটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি কী গ্রেপ্তার হয়েছেন নাকি বিদেশে চলে গেছেন? এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি তো বলেছি ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন; দেখতে পাবেন। এটা কি শুধু সম্রাটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাকি আরো অনেকের ক্ষেত্রে—এ প্রশ্নে কাদের বলেন, না; আমি এখন কিছু বলব না।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায়। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে গেছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চাঁদাবাজি এখনো চলছে—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে তৃণমূলে সম্মেলন করছি, সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজাচ্ছি, এখানেও একটা ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, যাদের বিরুদ্ধে জনগণের অভিযোগ আছে, সেসব লোককে আমরা দলের নেতৃত্ব পদে বসাব না। এটাও আমাদের তৃণমূলে সম্মেলন করার একটা উদ্দেশ্য।’

ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যারা চাঁদাবাজি করছে তাদের কোনো তালিকা আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে কোনো তালিকা নেই, তবে নজরদারি আছে। এখনো তথাকথিত লাইনম্যানরা চাঁদা উঠাচ্ছে—একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি একটা ধরে নিয়ে আসেন, আজকেই জেলে দেব। আমার কানে কানে বলুন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনগুলোর সম্মেলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে। তিনি ভারত যাওয়ার আগেই এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এবার নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া যাদের ক্লিন ইমেজ ও উজ্জ্বল ভাবমূর্তি আছে তারাই নির্বাহী কমিটিতে আসবেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নানাভাবেই নেওয়া যায়। পদ কেড়ে নেওয়াসহ পদাবনতি দেওয়াও সাংগঠনিক ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নিজের পদ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পারসোনালি আমি কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করব না। নেত্রী যাকে ইচ্ছা দেবেন। আমাকে যদি তিনি থাকতে বলেন, সেটি তিনি বলতে পারেন। আবার বলতে পারেন বিদায়। আরেকজন আসবে, নতুন মুখ আসবে। ওয়েলকাম, কোনো অসুবিধা নেই। কাদের বলেন, সাধারণ সম্পাদকের পদটি পার্টির সর্বোচ্চ পদধারীর নির্দেশেই চলে। এ ক্ষেত্রে অনেক প্রার্থী থাকতে পারেন। আওয়ামী লীগের মতো একটি দলের সাধারণ সম্পাদক একবার হয়েছি, এটিই সম্মানের। সারা জীবন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবেই থাকতে চাই।

‘জামিন পেলে খালেদা জিয়া বিদেশে যাবেন, এ কথা বিএনপির সংসদ সদস্য বলেছেন’

খালেদা জিয়া জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে চান, এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা সরকার ও দলের এই মুখপাত্রের কাছে জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, জামিন পেলে খালেদা জিয়া বিদেশে যাবেন এ কথা বিএনপির যে সংসদ সদস্য বলেছেন তিনি আমার সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। তিনি আমাকেও একই কথা বলেছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও জানাতে বলেছিলেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আসলে আদালতের। আদালতকে জামিন দেওয়ার কথা আমরা কীভাবে বলব। বিচার বিভাগ তো স্বাধীন। তিনি বলেন, যখন আদালত তাকে জামিন দেবেন তখন পক্ষে-বিপক্ষে কথা হবে। খালেদা জিয়াকে জামিন দেবেন কি না, সেটা বিচারকের বিষয়। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তো আমাদের কোনো বিরোধ নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads