ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চেয়ার-টেবিল না পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের মেঝেতে বসে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনের বেশিরভাগ জায়গা দখল করে রেখেছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। তাদের (ছাত্রদলের) বসার জন্য কোনো চেয়ার-টেবিল রাখেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর মধুর ক্যান্টিনে সরেজমিনে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে এসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দেখতে পান, তাদের বসার জায়গাতে কোনো চেয়ার-টেবিল নেই। এর প্রতিবাদ হিসেবে তারা মেঝেতে বসে পড়েন। ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, অন্যান্য দিনের মতো দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমরা মধুর ক্যান্টিনে এসে দেখতে পাই সেখানে খালি কোনো চেয়ার-টেবিল নেই। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সব দখল করে বসে রয়েছেন। এ সময় সেখানে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বসে থাকতে দেখেন তারা।
এরপর বেলা ১১টার দিকে মধুতে আসেন দলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন। তিনিও এসে একই অবস্থা দেখতে পান। পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সবাই মেঝেতে বসে এর প্রতিবাদ জানান। সেখানে একঘণ্টা অবস্থানের পর নেতাকর্মীদের নিয়ে ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক মধুর বাইরে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীদের ওপরে হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মিছিলটি মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, ভিসি চত্বর দিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, বুধবারও আমরা মধুর ক্যান্টিনে মাত্র একটি টেবিল এবং তিনটি চেয়ার পাই। বসার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের মাথার ওপরের সিলিং ফ্যানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। গরম সহ্য করতে না পেরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বাধ্য হয়ে সেখান থেকে চলে যান। এটিকে ছাত্রলীগের টেকনিক বলে অভিহিত করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। মধুর ক্যান্টিনে আমরা অন্যান্য দিনের মতো বসে ছিলাম। তারা মধুতে এসেছে তা দেখেছি। তারা চেয়ার-টেবিল না পেলে আমরা কি সেগুলো বানিয়ে দেব? মধুর ক্যান্টিনের ম্যানেজার আলমগীর হোসেন বলেন, আমি দেখলাম, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখানে এসে চেয়ার-টেবিল পাননি। তারা কিছুক্ষণ ফ্লোরে বসে ছিলেন, তারপর চলে গেছেন।
