ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর প্রচারণার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তাবিথসহ প্রচারণায় থাকা বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় গাবতলী থেকে সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন তাবিথ আউয়াল। এসময়, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সলর মুজিব সারোয়ারের প্রার্থীর মিছিলের সমর্থকদের সঙ্গে তাবিথের মিছিলের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তাবিথ আউয়াল গাবতলীর পর্বত সিনেমা হলের কাছে কলাবাজার এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে একদল লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে তাবিথ ও তার প্রচার সঙ্গীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাবিথের ওপর ডিম ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার সঙ্গী কয়েকজনকে লাঠি দিয়েও আঘাত করা হয়। তাবিথও মাথায় আঘাত পান।
এ সময় হামলাকারীদের সঙ্গে তাবিথের সমর্থকদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। ঘটনার পর পুলিশ এসে দুই পক্ষের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা চালায়।
গণসংযোগ শুরু করার আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভোটাররা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছেন। ইভিএম-এ ভোট নিয়ে জনগণের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা কাজ করছে। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে তারা সন্দিহান।
তিনি বলেন, ইসি নির্বাচনের তারিখ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। এখন তারিখ নিয়ে সুষ্ঠু সমাধানে আসতে পেরেছে। আমরা আশা করবো তারা এখন ভোটারদের ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করবে। আমরা ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ভোটাররা ভোট দিতে পারলে বিজয় নিশ্চিত।
তাবিথ আউয়াল অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মাইক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চললে ভোটাররা ভয়ের মধ্যে থাকবে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইদুল ইসলামসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।