• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বিএনপি’র ক্রমাগত জঘন্য মিথ্যাচার ফৌজদারি অপরাধের শামিল : তথ্যমন্ত্রী

ছবি: পিআইডি

রাজনীতি

বিএনপি’র ক্রমাগত জঘন্য মিথ্যাচার ফৌজদারি অপরাধের শামিল : তথ্যমন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৮ মে ২০২০

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির ক্রমাগত জঘন্য মিথ্যাচার ফৌজদারি অপরাধের শামিল ।

আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপি’র সাম্প্রতিক নানা মন্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ‘করোনাদুর্যোগে মানুষের জীবনরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। করোনার মধ্যে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। ৬ কোটির বেশি মানুষ আজ সরকারের ত্রাণ ও সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায়। পাশপাশি আরো ১ কোটির বেশি মানুষকে ত্রাণ দিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং ত্রাণ কার্যক্রমে মানুষ খুশি।’

তিনি বলেন, “ বিএনপি মাঝেমধ্যে ঢাকা ও আশেপাশে কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে ফটোসেশন করে দুই-তিনশ’ মানুষেকে ত্রাণ দিতে গিয়ে বিষোদগার করছে।”

ড. হাছান বলেন, ‘যারা জেগেও ঘুমায়, তাদের ঘুম ভাঙ্গানো যায় না। প্রকৃতপক্ষে সরকার যেভাবে এই পরিস্থিতিকে সামাল দিচ্ছে এতে বিএনপি প্রচন্ড হতাশ এবং সেই হতাশা থেকেই তারা এই বক্তব্য রাখছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন ‘বিএনপি, বিশেষ করে তাদের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যেভাবে মিথ্যাচার করছেন, তা ফৌজদারি অপরাধের শামিল। তার এই মিথ্যাচার নেশা না করেও নেশাগ্রস্ত মানুষ যেভাবে নেশায় বুঁদ হয়ে বকবক করে তার এই বক্তব্যগুলো ঠিক সেই রকম। আমি আশা করবো, ক্রমাগতভাবে এই মিথ্যাচারের রাজনীতি থেকে তারা বেরিয়ে আসবেন এবং এই রমজান মাসে দয়া করে তা পরিহার করবেন।’

ড. হাছান বলেন, ‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, করোনা ভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাব যখন শুরু হয়, ইউরোপ- আমেরিকার সুপার মার্কেটগুলোতে তখন পণ্য শেষ হয়ে গিয়েছিল। মানুষকে ঘন্টার পর ঘন্টা সুপার মার্কেটের সামনে পণ্য কেনার জন্য লাইন ধরে দাঁড়াতে হয়েছে। বহু সুপার মার্কেটে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া যায়নি।’

মন্ত্রী বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় শুরুতে মাস্কের সংকট ছিল। হোয়াইট হাউজের সামনে এবং আমেরিকার অন্যান্য জায়গায় পিপিই’র জন্য বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে নিত্যপণ্যের বাজারে সেই পরিস্থিতি হয়নি। তিনি বলেন, নিত্যপণ্য ও মাস্কের কোনো ঘাটতি আমাদের দেশে হয়নি, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে লাখ লাখ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে এবং কয়েক লাখ পিপিই মজুদ আছে।

ত্রাণ বিতরণ অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে হচ্ছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম ত্রাণ বিতরণে সব দলের মানুষকে আনা হয়েছে। যারা অন্য দল করে তারাও আছে, যারা আওয়ামী লীগকে গালি দেয় এমনকি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিষোদগার করে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তারাও এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের আওতায় এসেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ৬৪ হাজারের বেশি স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির মধ্যে দুর্নীতিতে ৫৫ জন অভিযুক্ত যা ০.০৮ শতাংশ অর্থাৎ ১ হাজারে ১ জনও নয়। ত্রাণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির ফলেই এরা শনাক্ত হয়েছে। অন্য কেউ নয়, সরকারি প্রশাসনই তাদের শনাক্ত করেছে, সরকারের পুলিশ এবং মন্ত্রণালয়ই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’

৫০ লাখ পরিবারকে এককালীন ২ হাজার ৫শ টাকা নগদ পৌঁছার কার্যক্রম সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরির অবকাশ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তিন স্তরর তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে এটি সরাসরি গ্রহীতার কাছে যাচ্ছে, কোনো মাধ্যমে নয়। জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ভোটার আইডি নম্বর, নাম, ঠিকানা, পিতার নাম ও মোবাইল নাম্বার না মিললে যাচ্ছে না। কেউ তালিকা দিলেই পাবেন, তা নয়, পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাই করেই দেয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads