সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃংখলা পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্জ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় হত্যা মামলার বাদী বড় ভাই রুবেলকে অপহরণের অভিযোগ এনে ৪ আগস্ট বিকেলে তার বাবা কাদের প্রমানিক কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপরই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ রেজা পাভেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংবাদ পেয়ে ১০০/ ১৫০ জনতাকে নিয়ে থানার সামনে হাজির হয়ে পাভেলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে থাকে ছাত্রলীগের একাংশ। তাদের উস্কানীমূলক বক্তব্য ও শ্লোগানে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন সেখ যে কোন মূল্যে গ্রেপ্তার পাভেলকে ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি দেয়। ২ ঘন্টাব্যাপী এ অবস্থা চলার একপর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মামুনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা থানার থানা কম্পাউন্ডের ভিতরে প্রবেশ করে এবং গ্রেপ্তার পাভেলকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য মূল ভবনের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে তারা পুলিশের উপর চড়াও হয় এবং ধস্তাধস্তি শুরু করে। এ অবস্থায় লাঠিচার্জ করে তাদের ছাত্রভঙ্গ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে অন্যরা পালিয়ে গেলেও ছাত্রলীগ নেতা মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে নিহত বিজয়ের বাবার দায়ের করা অপহরণ মামলারও প্রধান আসামী।
এরপর থানায় হামলার ঘটনায় ওই দিনই এস.আই বিপ্লব বাদী হয়ে মামুনসহ অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার সভাপতি পাভেল ও সাধারন সম্পাদক মামুন বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। এ অবস্থায় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ১২ আগষ্ট এ উপজেলা কমিটির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।