স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আগেই আর্থ-সামাজিক অধিকাংশ সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দেশ এগিয়ে চলছে। পাকিস্তান পার্লামেন্টে এখন বাংলাদেশের কথা আলোচনা হয়, তারা এখন বাংলাদেশ হতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এখানেই একজন মুজিবের আজন্ম সংগ্রামের সফলতা এবং অর্জন। শেখ হাসিনার ম্যাজিক্যাল লিডারশিপ, ক্যারিশমেটিক সিদ্ধান্ত মেকিং এ বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভার বিস্ময়।
আজ শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সেতু ভবনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ কর্ণারের উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় বিএনপির দেউলিয়াত্বের লক্ষ্মণ প্রকাশ পাচ্ছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
কাদের বলেন, স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক দল হয়ে বিজয়ের মাসে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রকাশ্যে বিদেশি শক্তির নৈতিক সাহায্য চাওয়া বিএনপির দেউলিয়াত্বের লক্ষ্মণ। বিএনপি কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধ ও সার্বভৌমত্বের কথা বলে অথচ বিদেশিদের কাছে বিচার দেওয়াই এখন তাদের প্রধান কাজ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা মন ও মননে এ দেশকে মেনে নিতে পারেনি, তারাই স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিবলয়কে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির নীলনকশা করে স্বার্থসিদ্ধির অপচেষ্টায় মেতেছে বিএনপি। এসব অপচেষ্টা অতীতের মতো বুমেরাং হবে বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি। বলেন, জনগণ এখন অনেক সচেতন। তাদের নেতিবাচক রাজনীতিতে সাড়া দেয় না বলে বিএনপি জনগণের উপর প্রতিশোধ নিতে চায়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, খাদ্য ঘাটতির দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বন্যা, খরা, মঙ্গা, ঘূর্ণিঝড়ের বাংলাদেশ আজ পারমাণবিক বিশ্বের গর্বিত সদস্য। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সাহস একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যারই রয়েছে, তিনি তা প্রমাণও করেছেন।
এসময়, ২০২২ সালে পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে যান চলবে- আশা করে মন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণে কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি এবং স্বচ্ছতার সামান্যতম ঘাটতিও ছিল না।
অনুষ্ঠানে, সেতু বিভাগের সচিব মো. বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ। এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন করেন এবং পরিদর্শন করেন।