• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

জিমেইল

সংরক্ষিত ছবি

সোশ্যাল মিডিয়া

জিমেইল ব্যবহার করে লেনদেন করা যাবে আইফোন থেকেও

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১২ মে ২০১৮

অর্থ লেনদেনে পেপ্যাল, অ্যাপল পে কিংবা ভেনমোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর মতোই সেবা দেয় গুগল। লেনদেন সেবা গুগল পে ব্যবহার করে ইতোমধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা অর্থ লেনদেন করলেও এতদিন আইফোন ব্যবহারকারীরা এই সেবাটি পেতেন না। তবে গুগলের আনা নতুন এক ফিচারের মাধ্যমে জিমেইলের অ্যাড্রেস দিয়েই আইফোন থেকে অর্থ পাঠাতে পারবেন।

গত মার্চ মাসে সেবাটি চালু হলেও এখন অনেকেই অবগত নন বিষয়টি নিয়ে। অনেকে আবার জানেন না জিমেইল থেকে গুগলের লেনদেন সেবা গুগল পে কীভাবে পাওয়া যায়।

সিএনবিসি ডটকম সম্প্রতি এই সেবাটি পাওয়ার জন্য কী কী করতে হবে তার পরামর্শ দিয়েছে। সেবাটি পেতে শুরুতেই গুগল পে অ্যাকাউন্ট চালু করতে হবে। গুগল পে ওয়েবসাইটে গিয়ে বাম পাশে পেমেন্ট মেথডস লেখা অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর, ‘অ্যাড পেমেন্ট মেথড’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আইফোনের জিমেইল অ্যাপ খুলে গ্রাহকের ইমেইল অ্যাড্রেস দিতে হবে। ইমেইলের সাবজেক্টের জায়গা পূরণের পর স্ক্রিনের ডান পাশে ওপরে পেপারক্লিপ আইকনে ক্লিক করতে হবে। তারপর নিচের দিকে স্ক্রল করে ‘সেন্ড মানি’ অপশন বাছাই করতে হবে। এখানে ব্যবহারকারী ঠিক কী পরিমাণ অর্থ পাঠাতে চান তা লেখার পর এ ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড থেকে অর্থ পরিশোধ করা হবে তা বাছাই করতে হবে।

এরপর ‘অ্যাটাচ মানি’ অপশনে ক্লিক করার পর লেনদেনের জন্য একটি মেমো যোগ করতে হবে। আর এর পরই ইমেইলটি পাঠিয়ে দিলে প্রেরকের অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ হবে।

প্রাপকের কাছে একটি ইমেইল পৌঁছানোর পর তাকে সেখানে তিনি যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই অর্থ নিতে চান তা দিতে হবে। তাহলে ওই অর্থ নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে যোগ হয়ে যাবে।

গত মার্চ মাসে অ্যান্ড্রয়েড পে এবং গুগল ওয়ালেটের সমন্বয়ে গুগল পে নামে নতুন অর্থ লেনদেন সেবা চালু করে গুগল। তখন অবশ্য অ্যাপলের অ্যাপল পে’র সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই এ উদ্যোগ নেয় বলে উল্লেখ করেন অনেক প্রযুক্তিবিদ।

তখন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ব্যবহার উপযোগী সেবাটি কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার মূল্য পরিশোধের পাশাপাশি নির্দিষ্ট শপিংমলে কেনাকাটা করার সুযোগ রাখা হয়। খরচের হিসাব রাখতে হোম নামের একটি ট্যাব রয়েছে অ্যাপটিতে। এতে ক্লিক করলেই সর্বশেষ পেমেন্টের সব তথ্য পাওয়া যাবে। পকেটে একাধিক ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড রাখার ঝামেলা এড়াতে আরো রয়েছে কার্ডস ট্যাব। ব্যবহারকারীরা চাইলে নিজেদের সব কার্ডের তথ্য ট্যাবটিতে যুক্ত করে প্রয়োজনের সময় সেগুলো ভার্চুয়ালি ব্যবহারও করতে পারবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads