• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
gayle

no caption

খেলা

টি–টোয়েন্টিতে গেইলের ‘খুনে’ ৫ ইনিংস

  • আজাদ আল আমিন
  • প্রকাশিত ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭

ক্রিস গেইলের ঘুম ভাঙলে প্রতিপক্ষের শান্তি শেষ! ধ্বংসাত্মক ব্যাটিংই তার প্রমাণ। যা গতকাল বিপিএলে খুব ভালোভাবেই টের পেয়েছে। ৫১ বলে অপরাজিত ১২৬ রানের খুনে ইনিংস দিয়ে খুলনাকে ‘শেষ’ করে দিয়েছেন ক্যারিবীয় ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রাজা গেইলের এমন ইনিংস বিরল নয় অবশ্যই। তাঁর এমন পাঁচটি বিস্ফোরক ইনিংসের দিকে ফিরে তাকালে খুলনা টাইটানস ক্রিকেটাররা কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেতে পারেন।

৫৭ বলে ১১৭ ( টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০০৭)
প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। দল না জিতলেও কী শুরুটাই না করেছিলেন গেইল! জোহানেসবার্গে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। ১০ ছক্কা ও ৭ বাউন্ডারিতে ৫৭ বলে ১১৭ রানের রেকর্ড ইনিংস খেলেছিলেন গেইল। স্ট্রাইক রেট ২০৫.২৬! একবার বলও হারান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোট সংগ্রহের (২০৫/৬) ৫৭ শতাংশ রানই এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। যেটা তখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দলীয় রানে একজন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ অবদান। ২০ বল বাকি থাকতে আউট না হলে ইনিংসটাকে কোথায় নিয়ে যেতেন কে জানে!

৬৬ বলে ১৭৫* (আইপিএল, ২০১৩)
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বিধ্বংসী ইনিংস। পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ফিফটি করেছিলেন ১৭ বলে, বাকি পঞ্চাশ রান করে সেঞ্চুরি তুলে নিতে লাগে মাত্র ১৩ বল! ৫৩ বলে এসেছিল দেড় শ—সব মিলিয়ে ৬৬ বলে অপরাজিত ১৭৫। ১৩ বাউন্ডারির সঙ্গে ১৭ ছক্কা। বল বেঙ্গালুরুর চিন্মাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে ফেলেছিলেন দুবার, আরেকবার তুলেছিলেন ছাদে। দ্বিতীয় ওভারে ঈশ্বর পাণ্ডেকে পাঁচটি বাউন্ডারি মেরে খুনে ইনিংসটির শুরুটা করেছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলা গেইল। এ ছাড়া মিচেল মার্শের এক ওভারে চার ছক্কাসহ তুলেছিলেন ২৮ রান। অশোক দিন্দাকে স্টেডিয়ামের বাইরে মেরে গেইল তুলে নিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরি।

৬২ বলে ১৫১* (ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট, ২০১৫)
গেইলের আরেকটি খুনে ইনিংস। কেন্টের জো ডেনলির কাছে ব্যক্তিগত ৪৬ রানে একবার ‘জীবন’ পাওয়ার পর আর ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন সমারসেটের হয়ে খেলা গেইল। ১০ বাউন্ডারি আর ১৫ ছক্কায় সাজিয়েছিলেন ৬২ বলে ১৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ২৪৩.৫৪! ম্যাচ শেষে ডেনলি টুইট করেছিলেন, ‘আর যাই করো, ৪০ রানের আশপাশে গেইলের ক্যাচ ছেড়ো না।’

৪৮ বলে ১০০* (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৬)
গেইলের বয়স এখন ৩৭। গত বছর ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ ছিল কিনা, এ নিয়ে কথা হতেই পারে। কিন্তু এমন কথাবার্তার মধ্যেই মুম্বাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রায় একক প্রচেষ্টাতেই জেতালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮২ রান করেছিল ইংল্যান্ড। জবাবে ১১ বল হাতে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটা জিতেছিল শুধু গেইলের ব্যাটে ভর করে। ৪৭ বলে তুলে নিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। পরের বলে আউট হন। তার আগে মেরেছেন ১১ ছক্কা আর ৫ বাউন্ডারি। স্ট্রাইকরেট ২০৮.৩৩! এ ম্যাচে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ডটা নিজের করে নেন গেইল।

৫৪ বলে ১০৮* (সিপিএল, ২০১৬)
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯১ রান করেছিল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। এই ম্যাচে জ্যামাইকা তালওয়াসের হয়ে হিসেবী অথচ বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন গেইল। প্রথম ২৫ বলে করেছিলেন ৩০ রান। ইনিংসের মাঝপথে এসে ওভারপ্রতি ন্যূনতম ১২ রান করে দরকার ছিল জ্যামাইকা তালওয়াসের। ঠিক তখনই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গেইল। পরের ১৩ বলে এসেছিল ৫৯ রান! (৪,৬,৬,১,৬,৬,৪,১,৬,১,৬,৬,৬)। লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে ৪৯ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। স্ট্রাইকরেট কাটায় কাটায় ২০০! তালওয়াস ম্যাচটা জিতেছিল এক ওভার হাতে রেখে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads