• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

খেলা

ইসকোর হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত আর্জেন্টিনা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ মার্চ ২০১৮

স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ইসকোর হ্যাটট্রিকে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছেন স্পেন। তবে, এই জয় থেকে স্প্যানিশ কোচ জুলেন লোপেতেগুই আসন্ন বিশ্বকাপে কোন আত্মবিশ্বাস নিতে চাননা।

ওয়ান্ডা মেট্রোপালিটানোতে আর্জেন্টিনাার এই পরাজয়টা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। যদিও বড় এই জয়ে আরেকবার রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে স্পেনের গায়ে ফেভারিটের তকমাটা বেশ ভালভাবেই লেগে গেল। অন্যদিকে এই ম্যাচে আর্জেন্টাইনরা ইনজুরি আক্রান্ত লিওনেল মেসির অনুপস্থিতি কিছুটা হলেও অনুভব করতে বাধ্য হয়েছে। আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের পরে প্রথমবারের মত স্পেনের মূল একাদশে কাল খেলতে নেমেছিলেন দিয়েগো কস্তা। আর দলে ফিরেই প্রথম গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দিতে ভুল করেননি অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার। এরপর দুই অর্ধ মিলিয়ে ইসকো পরপর দুই গোল করেন। মাঝে নিকোলাস ওটামেন্ডির গোল আর্জেন্টাইনদের শুধু সান্তনা যুগিয়েছে মাত্র। অবশেষে থিয়াগো আলকানটারা, বদলী খেলোয়াড় ইয়াগো আসপাস ও ইসকোর তৃতীয় গোলে স্পেনের বড় জয় নিশ্চিত হয়।

লোপেতেগুই বলেছেন, আগের বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের বিপক্ষে এই জয়টা দারুন স্বস্তির। আর্জেন্টাইনদের ফুটবলের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। তারপরেও বলতে হয় এই জয় কিছুই না, এটা কোনকিছুই পরিবর্তন করে দিবেনা। শুন্য থেকে আমরা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শুরু করবো।
পরাজয়ের সব দায়ভার স্বীকার করে নিয়ে আর্জেন্টাইন কোচ জর্জ সাম্পাওলি বলেছেন, ‘আমি সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিচ্ছি। মেসি আমাদের সাথে অনুশীলন করেছিল। তার ফিটনেসও ভাল পর্যায়ে ছিল। কিন্তু কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করায় আমি কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইনি।’

এর আগে ইনজুরির কারনে দলের বাইরে ছিলেন সার্জিও আগুয়েরো ও এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। আর্জেন্টিনার সমস্যা ছিল তারা খুব বেশী সুযোগ তৈরী করতে পারেনি। অন্যদিকে কস্তা, ইসকো, মার্কো আসেনসিওরা সুযোগগুলো কাজে লাগিয়েছে। আসেনসিও থাকলেও কস্তা আবারো প্রমান করেছেন তিনিই স্পেনের মূল স্ট্রাইকার।

অন্যদিকে মেসির অনুপস্থিতিতে গঞ্জালো হিগুয়েইন সফরকারীদের আক্রমনভাগের নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে এভার বানেগা, ম্যাক্সিমিলিয়ানো মেজা ও গিওভানি লো সেলসো ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে নিজেদের এগিয়ে রেখেছিলেন। স্পেন খেলেছে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। থিয়াগো, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও কোক আবারো এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে দলে ছিলেন।
ম্যাচ শুরুর ১২ মিনিটে গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোকে পরাস্ত করে কস্তা দলকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি। যদিও ২২ মিনিটে রোমেরোর স্থানে খেলতে নামেন উইল কাবালেরো। ২৭ মিনিটে কাবালেরোর ভুলে থিয়াগোর কাছ থেকে আসেনসিও হয়ে বল ইসকোর কাছে আসলে ব্যবধান দ্বিগুন করেন এই মাদ্রিদ মিডফিল্ডার। বানেগার ক্রস থেকে ৩৯ মিনিটে ওটামেন্ডি এক গোল শোধ করলে আর্জেন্টিনা ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয়।

বিরতির পরে ৫২ মিনিটে ডি গিয়ার লম্বা পাস থেকে কস্তার বদলী হিসেবে খেলতে নামা আসপাসের সহায়তায় ইসকো নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। তিন মিনিট পরে থিয়াগো আলকানটারা গোলে স্পেনের ব্যবধান আরো বাড়লে আর্জেন্টিনার সব আশা শেষ হয়ে যায়। ৭৩ মিনিটে আসপাস নিজেই গোল করেন। এক মিনিট পরে আবারো আসপাসের সহায়তা ইসকো হ্যাটট্রিক পূরণ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads