• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

খেলা

ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা নেই লেম্যানের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৯ মার্চ ২০১৮

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, বল বিকৃতি কেলেংকারিতে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমানিত হয়েছেন দলেন কোচ ড্যারেন লেম্যান। কিন্তু তা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার কোচ ড্যারেন লেম্যানকে নিয়ে বিতর্ক থামছে না। বরং তা আরও বেড়েছে আরো কয়েক গুন। কেভিন পিটারসেন থেকে ফ্যানি ডিভিলিয়ার্স-সবাই মনে করছেন, দলের ক্রিকেটারেরা বল বিকৃত করছেন আর কোচ সেটা জানেন না, এমন হতেই পারে না। কিন্তু এই বিতর্কের ঝড়ের মাঝেও লেম্যান শক্তভাবেই দাঁড়িয়ে আছেন। কোনো কথায়, সমালোচনায় তাকে টলানো যাচ্ছে না। যে কারণে তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন যে, অস্ট্রেলিয়ার কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই।

জোহানেসবার্গে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে লেম্যান বলেন, ‘আমি ইস্তফা দিচ্ছি না। কিন্তু আমরা যেভাবে খেলছি, সেই ধরনটা বদলাতে হবে।’ স্মিথ, ওয়ার্নার, ব্যানক্রফ্ট মারাত্মক ভুল করেছে। যে জন্য ওদের শাস্তি পেতে হল। কিন্তু এটা ভুললে চলবে না, ওরাও মানুষ এবং খুব খারাপ মানুষ নয়। কোচ হিসেবে ওদের জন্য আমার খারাপ লাগছে।’ পুরো ঘটনার জন্য দলের হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন লেম্যান।

কিন্তু লেম্যান কেন ছাড় পেলেন? এই প্রশ্ন এখন অনেকেরই। এর জবাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সিইও জেমস সাদারল্যান্ড জানান, মাঠে কী ঘটনা ঘটছে, তা টিভিতে দেখে চমকে উঠেছিলেন লেম্যান। সঙ্গে সঙ্গে ওয়াকিটকি মারফত জানতে চান, কী হচ্ছে। কোচ আগে থেকে কিছুই জানতেন না।’

অন্যদিকে অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার মনে করছেন, স্মিথ-ওয়ার্নারদের অপরাধের অনুপাতে অতিরিক্ত শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আইসিসি যেখানে স্মিথকে এক টেস্ট সাসপেন্ড করেছিল, সেখানে বোর্ড কেন এত কড়া হল? কিংবদন্তি লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন বলছেন, ‘এই অপরাধের জন্য কড়া শাস্তি হওয়া উচিত ছিল ঠিকই। কিন্তু যে শাস্তি স্টিভ স্মিথের মতো একজন সফল অধিনায়কের ক্রিকেট জীবন থেকে একটা বছর কেড়ে নেয়, তা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পড়ে।’ ওয়ার্নের মতে, ‘নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে মোটা জরিমানা করে সিরিজের শেষ টেস্ট খেলতে না দেওয়াটাই তো বড় শাস্তি। এরপরেও ওদের নির্বাসনে পাঠানো উচিত হয়নি। শাস্তির নামে কারও ক্রিকেটজীবন নষ্ট করা উচিত নয়।’

অতীতের একাধিক বল-বিকৃতির ঘটনা তুলে ধরে ওয়ার্ন তাঁর কলামে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি একই অপরাধ দু’বার করেছেন। ওদের ওপেনিং বোলার ভার্র্সন ফিল্যান্ডার করেছেন একবার। এই অপরাধের তালিকা লম্বা এবং শচিন টেন্ডুলকার, মাইক আথারটনের মতো বড় বড় নাম রয়েছে সেখানে। অথচ তাদের যে এত কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads