গত সপ্তাহে ইতালির বিরুদ্ধে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে খেলেননি মেসি। তবে আশা করা হয়েছিলো স্পেনের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে ফিজিও টিমের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন মেসি। স্পেনের কাছে আর্জেন্টিনার হারের পরে মেসির এই সিদ্ধান্ত নিয়েই শুরু হয়েছে সমালোচনা। ম্যাচ চলাকালীন ফুটবলারদের জন্য গ্যালারিতে নির্দিষ্ট আসনে বসে খেলা দেখছিলেন মেসি। টিভিতে দেখা গিয়েছে, স্পেনের ষষ্ঠ গোল হওয়ার পরেই গ্যালারিতে থাকা আর্জেন্টিনার সতীর্থ ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত উঠে চলে যাচ্ছেন তিনি।
সর্বত্র একই কথা, একি হলো! আর সবচেয়ে বেশি তোপের মুখে পড়েছেন দলটির তারকা স্ট্রাইকার লিওনেল মেসি। কারণ সমর্থকদের দাবি, মেসি থাকলে ম্যাচের এই হাল হতো না। এছাড়াও তারা নানা কারনে মেসিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ বলছেন মেসি মাঠে নামলেও ম্যাচের ফলাফল খুব একটা পরিবর্তন হতো না। অনেকে আবার বলছেন, স্পেনের বিপক্ষের ম্যাচে মেসির বিশ্রামে থাকা ঠিক হয় নি। চারদিকের অবস্থা যখন এমন তখন মেসির পক্ষ নিলেন স্প্যানিশ তারকা স্ট্রাইকার দিয়েগো কস্তা।
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে ১২ মিনিটে প্রথম গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দিয়েছিলেন এই কস্তা। তিনি বলেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবল উন্মাদনা জানি। এই হার আর্জেন্টিনার ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ করবে অবশ্যই। আর সেই হতাশা থেকেই মেসির সমালোচনা করছেন কেউ কেউ। কিন্তু তা কাম্য নয়। মেসি যখন ম্যাচে খেলেনি তখন ওর সমালোচনা করা যায় না। মেসির মতো ফুটবলারকে সমালোচনা না করে বরং ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। কারণ, মেসি এমন একজন ফুটবলার যে মাঠে নামলে অন্য টিমের সঙ্গে ব্যবধান গড়ে দেয়। তাই মেসির সঙ্গে সমর্থকদের ভাল ব্যবহার করা প্রয়োজন। কারণ মেসি সমালোচনার উর্ধ্বে থাকা একজন ফুটবলার।’
বিশ্বকাপের আগে আর একটিই প্রস্তুতি ম্যাচ বাকি রয়েছে আর্জেন্টিনার। জুন মাসে সে ম্যাচে মেসিরা খেলবেন ইসরায়েলের বিপক্ষে। তার পরেই শুরু হয়ে যাবে বিশ্বকাপ। যেখানে আর্জেন্টিনার গ্রুপে রয়েছে নাইজিরিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও আইসল্যান্ড।