• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

ফুটবল

গোল না পেলেও জয়ের নায়ক মেসি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৬ এপ্রিল ২০১৮

জুভেন্ডাসের বিরুদ্ধে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বিস্ময় গোলের পরে যাবতীয় আকর্ষণ ছিল মেসিকে নিয়ে। বুধবার রাতে ক্যাম্প ন্যু-তে এএস রোমার বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক কী করে, তা নিয়েই আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। মেসি গোল করতে না পারায় অনেকেই প্রচণ্ড হতাশ। কিন্তু গোল না পেলেও বার্সেলোনার জয়ের আসল নায়ক কিন্তু মেসি-ই।

বার্সেলোনা ম্যানেজার আর্নেস্তো ভালভার্দে জানতেন, অ্যাওয়ে ম্যাচে রোমা শুধু রক্ষণাত্মক ফুটবলই খেলবে না, মেসিকে আটকানোর জন্য মরিয়া হয়েও থাকবে। এই কারণেই বুধবার রাতে ভালভার্দে রণনীতিতে সামান্য পরিবর্তন করেছিলেন। ৪-৪-২ ছকে সামনে লুইস সুয়ারেস ও মেসি-ই ছিল। কিন্তু খেলাটা শুরু হওয়ার পরেই মেসি একটু নীচে নেমে এল। কারণ, ও বল ধরলেই রোমার তিন-চার জন ফুটবলার ওকে ঘিরে ধরছিল। মেসির মতো ভয়ঙ্কর ফুটবলার বিপক্ষে থাকলে সব দলই এই ধরনের ফুটবল খেলবে। যদিও তাতে লাভ খুব একটা হয় না। বরং মেসি একটু পিছন থেকে খেলায় আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। আন্দ্রে ইনিয়েস্তার সঙ্গে জুটি বেঁধে আক্রমণের ঝড় তুলছিল। যা সামলাতে না পেরে ৩৮ মিনিটে নিজের গোলেই বল ঢুকিয়ে দিল দানিয়েল দে রোসির মতো অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার।

মেসির সঙ্গে পাস খেলেই রোমা পেনাল্টি বক্সের কাছে পৌঁছে গোল লক্ষ্য করে শট নেয় ইনিয়েস্তা। যা বিপন্মুক্ত করতে গিয়েই আত্মঘাতী গোল করে বসে দে রোসি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ম্যাচের ৫৫ মিনিটে। এ বার আর এক ডিফেন্ডার কোস্তাস মোনোলাসের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে রোমা। এই গোলের নেপথ্যেও নায়ক সেই মেসি। এ বার অবশ্য ইনিয়েস্তার বদলে মেসির সঙ্গী ছিল ইভান রাকিচিত। ৬০ মিনিটে জেরার পিকে গোল করল সেই মেসির পাস থেকেই। বার্সলোনার হয়ে শেষ গোল করল সুয়ারেস। ৮৯ মিনিটে ডেনিস সুয়ারেসের পাস থেকে। প্রায় এক বছর পরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল পেল উরুগুয়ে স্ট্রাইকার। সুয়ারেসের গোলের দু’মিনিট আগে অবশ্য রোমার এডেন জেকো গোল করে ব্যবধান কমায়।

বার্সেলোনার চারটির মধ্যে তিনটি গোলের ক্ষেত্রেই অবদান মেসির। এই রকম অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের পরেও দেখছি, অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছে। আমার মতে বড় ফুটবলার তারাই, যারা পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার ধরন বদল করতে পারে। এই প্রজন্মের ফুটবলারদের মধ্যে মেসি, রোনাল্ডোরা সেই পর্যায়ে পড়ে। মেসি খুব ভাল ভাবেই জানত, ওকে কখনওই রোমার ফুটবলাররা স্বাভাবিক খেলা খেলতে দেবে না। মেরেধরে যে ভাবেই হোক আটকানোর চেষ্টা করবে। তাই ও নীচে নেমে গিয়েছিল।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads