• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

খেলা

শেষ মুহূর্তের পেনাল্টিতে রিয়াল সেমিফাইনালে

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৩ এপ্রিল ২০১৮

চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে যা ঘটেনি, সেটি ঘটিয়ে দেখানোর পথে ছিল জুভেন্টাস। রচনা করতে যাচ্ছিল রূপকথা। শেষ পর্যন্ত সেটি হতে দেননি রেফারি মাইকেল অলিভার। ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে বিতর্কিত পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। লাল কার্ড দেখে বিদায় করে দেন কিংবদন্তি গোলরক্ষক বুফনকে। সুযোগটি কাজে লাগান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ইনজুরি টাইমের সপ্তম মিনিটে গোল করেন। এই গোলের সুবাদে ১-৩ গোলে হারলেও দুই লেগ মিলে ৪-৩ গোলে এগিয়ে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। তাতে নিশ্চিত হয় সেমিফাইনাল। আর বিদায় নেয় জুভেন্টাস।

কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হারে জুভেন্টাস। চ্যাম্পিয়নস লিগে নক আউট পর্বে কোনো দল ঘরের মাঠে এত বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি। বুধবার সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে সেই অসম্ভব কাজটি করার পথে ছিল ইতালিয়ান জায়ান্টরা। রিয়ালের মাঠে এগিয়ে যায় ৩-০ গোলের ব্যবধানে। খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর পথে। কিন্তু ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে রিয়ালের পক্ষে পেনাল্টির জন্য বাঁশি বাজান রেফারি।

তার এমন সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হন জুভেন্টাস অধিনায়ক বুফন। রেফারি অলিভার যেন রিয়ালকে জেতানোর জন্যই মাঠে নামেন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে কিংবদন্তি গোলরক্ষককে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বিদায় করে দেন।

চ্যাম্পিয়নস লিগে ১১৭টি ম্যাচ খেলেন বুফন। এর মধ্যে এই প্রথম লাল কার্ড দেখেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক। দীর্ঘ ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে জুভেন্টাসের হয়ে তিনবার ফাইনাল খেলেন। ২০০৫ ও ২০১৫ সালের পর সবশেষ ২০১৭ সালে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলেন। কিন্তু কখনো শিরোপাটি জেতা হয়নি। এবার তার সম্মানে রিয়াল সমর্থকদের দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানানোর কথা ছিল। কিন্তু সেটিও শেষ হলো তিক্ততার মধ্য দিয়ে।

ম্যাচ শেষে রেফারি অলিভারের মনুষ্যত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বুফন। তার বুকের মধ্যে হূদয়ের পরিবর্তে ডাস্টবিন আছে বলে মনে করেন বিশ্বকাপজয়ী এই গোলরক্ষক। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেওয়া মানে খেলা শেষ করে দেওয়া। ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়াতে পারত।’ রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান বলেন, ‘বুফনকে লাল কার্ড দেখানো ঠিক হয়নি।’

পেনাল্টি থেকে রিয়ালের জয়সূচক গোল করে বুনো উন্মাদনায় মেতে ওঠেন রোনালদো। জার্সি খুলে উল্লাস করেন। ম্যাচ শেষেও অনমনীয় কথা বলেন। তার ভাষায়, ‘ফুটবলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করতে হবে। এটা পেনাল্টি ছিল। আমি জানি না তারা কেন প্রতিবাদ করেছিল।’

এদিন খেলার দ্বিতীয় মিনিটে সামি খেদিরা অসাধারণ একটি ক্রসে বল ভাসিয়ে দেন। সেটি হেড করে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন মানজুকিচ। আট মিনিটে হিগুয়েইন অল্পের জন্য গোল করতে পারেননি। এবার রিয়ালকে রক্ষা করেন কেইলর নাভাস।

খেলার ১০ মিনিটে গ্যারেথ বেলের ব্যাক হিলে নেওয়া শট জাল খুঁজে পায়নি। ১৩ মিনিটে রোনালদোর নেওয়া শট বুফন ফিরিয়ে দেন। সেটি ইসকো জালে পাঠান। তবে তার আগেই লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুলে ধরেন।

খেলার ৩৭ মিনিটে জুভেন্টাসের লিডকে ডাবলে নিয়ে যান মানজুকিচ। এটা যেন প্রথম গোলের কার্বন কপি। এবারো হেড দিয়ে গোল করেন। তবে বলটি ক্রস দেন লিচস্টেইনার।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ৬০ মিনিটে ডগলাস কস্তার বল নাভাস প্রথমে থামালেও হাত থেকে ফসকে যায়। আর সেটি পেয়ে জালে জড়িয়ে দেন দৌড়ে গোলপোস্টের দিকে চলে যাওয়া মাতুইদি। আর পেনাল্টি থেকে গোল করার আগে রোনালদো তেমন কোনো ঝলক দেখাতে পারেননি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads