• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ফুটবল

সাফে সহজ গ্রুপে বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০১৮

দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ ফুটবল আসর সাউথ এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের (সাফ) একবারই শিরোপা জয় করেছিল বাংলাদেশ। সেটা ২০০৩ সালে। এরপর আর একবার ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল লাল-সবুজরা। ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত ওই ফাইনালে ভারতকে সামনে পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পারেনি বাংলাদেশ। ২-০ ব্যবধানে হেরে রানার্স আপ ট্রফি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। তার আগে ১৯৯৯ সালে একই আসরের ফাইনালে ভারতের কাছেই ২-০ ব্যবধানে হেরে রানার্স আপ হয়েছিল লাল-সবুজরা। এরপর বেশ কয়েকবার গ্রুপ পর্বের বাধা টপকালেও সেমিফাইনাল থেকেই ছিটকে পড়তে হয়েছিল।

২০০৯ সালে সাফ ফুটবল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলেও স্বাগতিকদের ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি। দীর্ঘ আট বছর পর আবারো ঢাকায় ফিরেছে সাফের আসর। আগামী ৪ সেপ্টেম্বের ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে ১২তম এ ফুটবল আসর। গতকাল আসন্ন এ আসরের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ড্রতে আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশকে পূর্বনির্ধারিত ‘এ’ গ্রুপের টপার হিসেবে রাখা হয়। আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে রাখা হয় ‘বি’ গ্রুপের টপার হিসেবে। লটারির মাধ্যমে বাকি পাঁচ দলকে দুটি গ্রুপে ফেলা হয়। যেখানে স্বাগতিক বাংলাদেশ পড়েছে সহজ গ্রুপে। ‘এ’ গ্রুপে থাকা লাল-সবুজদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, ভুটান ও নেপাল। আর গ্রুপ ‘বি’তে রয়েছে ভারত, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা। গতকাল ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাফ ও বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাহউদ্দিন, টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর সুজুকি মোটর করপোরেশনের অ্যাডভাইজার (ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং অব মারুতি-সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেড) সেইজি হামাদা ও বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। ড্র পরিচালনা করেন সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল।

একে তো নিজেদের মাঠে সাফ, তার ওপর গ্রুপিং ভাগ্যটাও বেশ সুপ্রসন্ন লাল-সবুজদের। প্রতিপক্ষ তিন দলের মধ্যে পাকিস্তান অনেক দিন আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধ ছিল। সাফ দিয়েই তারা ফিরছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। তাই এ আসরে পাকিস্তানের অবস্থান খুব একটা শক্ত নয়। তাছাড়া নেপাল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকলেও ঘরের মাঠে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভুটানের বিরুদ্ধে এ আসরে প্রতিশোধের নেশায় মরিয়া থাকবে স্বাগতিকরা। ভুটানিরা র্যাঙ্কিং কিংবা মানের দিকে এগিয়ে থাকলেও হোম কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ চাইবে ম্যাচে জয় তুলে নিতে। কারণ ওই হারের লজ্জা এখনো পোহাতে হচ্ছে মামুনুলদের। তাই সেমিফাইনালে ওঠা স্বাগতিক বাংলাদেশের সহজ হওয়ার কথা।

২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে স্বাগতিক ভুটানের কাছে ৩-১ গোলে হারের পর দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে থাকতে হয়েছিল বাংলাদেশ। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর গত মাসেই লাওসের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে আবারো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখে জাতীয় ফুটবল দল। ওই ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছিল মামুনুল-জাহিদরা। দলকে ড্র উপহার দিয়েই জাতীয় দলের হেড কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশে ফিরে যান অ্যান্ড্রু অর্ড। তাই আবারো অবসর সময় কাটাতে হচ্ছে জাতীয় ফুটবল দলকে। সাফের আগে অনুশীলনে ব্যস্ত থাকার কথা থাকলেও কোচের অভাবে ফুটবলাররা রয়েছেন ক্যাম্পের বাইরে। তাই ঘরের মাঠে আসন্ন এই আসর আশরাফুল-জীবনদের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখা দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ৪ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হতে যাওয়া ওই ম্যাচে লাল-সবুজদের প্রতিপক্ষ ভুটান। একই ভেন্যুতে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে নেপাল ও পাকিস্তান। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিযোগিতার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads