• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

ফুটবল

না ফেরার দেশে ‘কিংবদন্তি’ বেন্টলি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২২ এপ্রিল ২০১৮

ইংল্যান্ডের ১৯৫০ বিশ্বকাপ দলের ফুটবলাররা পরলোকে চলে গেছেন অনেক আগেই। ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে জীবিত ছিলেন শুধু রয় বেন্টলি। ফুটবল দুনিয়াকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন চেলসির সাবেক এই স্ট্রাইকারও। ৯৩ বছর বয়সে পার্থিব জীবন থেকে চিরবিদায় নিলেন ১৯৫০ বিশ্বকাপে ইংলিশ দলের একমাত্র জীবিত এই সদস্য।

দ্য থ্রি লায়ন্স শিবিরের হয়ে বেন্টলির অভিষেক হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। সেই থেকে জন্মভূমির জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়ে ১২ ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের চোখ ফাঁকি দিয়েছেন ৯ বার। ১৯৫০ বিশ্বকাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ফেভারিট ইংল্যান্ডের কলঙ্কজনক হারের ম্যাচেও মাঠে ছিলেন সদ্য প্রয়াত এই ফরওয়ার্ড। এই ম্যাচই ছিল ওই আসরের সবচেয়ে বড় অঘটন। পার্ট-টাইম ফুটবলারদের নিয়ে গঠিত মার্কিন দলের বিপক্ষে সেবার ১-০ গোলে লজ্জাজনক হারে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল ইংল্যান্ড।

১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে ১১ হাজার পাউন্ডে নিউক্যাসল থেকে চেলসিতে পাড়ি জমান রয় বেন্টলি। বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারে চেলসিকে প্রথম ফার্স্ট ডিভিশন শিরোপা আসে তার হাত ধরেই। তার অধিনায়কত্বেই ১৯৫৫ সালে চেলসি ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ৩৬৭ ম্যাচ খেলে তিনি গোল পান ১৫০টি। দ্য ব্লুজ শিবিরের সর্বকালের সর্বাধিক গোলদাতাদের তালিকায় পঞ্চম স্থান দখল করে রেখেছেন বেন্টলি। তার আগে রয়েছেন কেবল ববি ট্যাম্বলিং, ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, কেরি ডিক্সন ও দিদিয়ের দ্রগবা। চেলসিতে আটটি পুরো মৌসুম খেলেন তিনি। প্রতি মৌসুমেই ছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। যে কারণে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জায়ান্ট চেলসির কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে তিনি সত্যিকারের ‘কিংবদন্তি’ ফুটবলার।

ক্লাবের সাবেক এই তারকা ফুটবলারের প্রয়ানে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে ভোলেনি চেলসি। গভীর ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা মাখানো এক বিবৃতিতে লন্ডনের ক্লাবটি জানায়, ‘ক্লাবের ইতিহাসে বেন্টলির গুরুত্ব কখনো ভোলেনি চেলসি। কখনো ভুলবেও না। তার পরিবার-                                                                                                             পরিজন ও বন্ধুদের প্রতি চেলসির আমরা সবাই জানাই সমবেদনা।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রয়্যাল নেভির হয়ে দায়িত্ব পালন করা বেন্টলি ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন জন্মশহরের ক্লাব ব্রিস্টল সিটি ও ব্রিস্টল রোভার্স হয়ে। খেলেন নিউক্যাসল, ফুলহ্যাম ও কুইন্স পার্ক র্যাঞ্জার্সের (কিউপিআর) হয়েও। ৩৮ বছর বয়সে খেলোয়াড়ি জীবনকে না বলে দেন বেন্টলি। নতুন ক্যারিয়ার গড়েন কোচিংয়ে। ১৯৬৩-৭২ সাল পর্যন্ত কোচ হিসেবে কাজ করেন রিডিং ও সোয়ানসি সিটিতে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads