• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

ফুটবল

অবসরে জুলিও সিজার

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৩ এপ্রিল ২০১৮

ঘরের মাঠে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলছিলেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক জুলিও সিজার। কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিবেশী দেশ চিলির বিপক্ষে পেনাল্টি আটকে বনে যান নায়ক। কিন্তু সেমিফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর পড়েন তুমুল সমালোচনার মুখে। এরপর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩-০ গোলে ব্রাজিল হেরে গেলে আরো তীব্র হয় সেই সমালোচনা। মনটা ভেঙে যায় জুলিও সিজারের। তখনই জানিয়ে ছিলেন, ‘এটাই হয়তো আমার শেষ বিশ্বকাপ।’

এরপর আর পরা হয়নি জাতীয় দলের জার্সি। এর মধ্যে দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে আরো একটি বিশ্বকাপ। ব্রাজিলের কোচ তিতে ভরসা রাখছেন তরুণ গোলরক্ষক রাফায়েল, জেফারসনের ওপর। সুতরাং জাতীয় দলে জায়গা হবে না বুঝতে পেরে গোলরক্ষকের গ্লাভস জোড়া খুলে রাখার ঘোষণা দিলেন জুলিও সিজার। ফুটবলের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোল ডটকম জানিয়েছে, ব্রাজিলের এই গোলরক্ষক এবার ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন।

১৯৯৭ সালে ব্রাজিলের ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোতে শুরু করেছিলেন ক্লাব ফুটবলের ক্যারিয়ার। আর এই ফ্ল্যামেঙ্গোর হয়ে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলেন এই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। ২০০৫ পর্যন্ত ফ্ল্যামেঙ্গোতেই ছিলেন জুলিও সিজার। এরপর ২০১৭ পর্যন্ত চারটি ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন এই তারকা গোলরক্ষক। ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানে পার করেছেন জীবনের সেরা সময়। ২২৮ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন, জিতেছেন ২০০৯-১০ মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা। সেবার উয়েফা ক্লাবসেরা গোলরক্ষকও নির্বাচিত হয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান।

২০০৪ সালে দায়িত্ব পান জাতীয় দলের গোলপোস্ট সামলানোর। এরপর টানা ১০ বছর সেই দায়িত্ব বেশ ভালোভাবে পালন করেন তিনি। সব মিলিয়ে খেলেছেন ৮৭ ম্যাচ। খেলেছেন ২০১০ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপও। জাতীয় দলের হয়ে ২০০৪ সালে জিতেছেন কোপা আমেরিকা কাপের ট্রফি। এ ছাড়া ২০০৯ ও ২০১৩ সালে জেতেন ফিফা কনফেডারেশন কাপের শিরোপা। ২০১৩ সালে জাতীয় দলে হয়ে জেতেন গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড।

ইংলিশ ক্লাব কুইন্স পার্ক রেঞ্জারস, টরন্টো এফসি এবং বেনফিকার হয়ে খেলার পর আবারো ফিরে আসেন শৈশবের ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোতে। অবশ্য এখানে একটি ম্যাচ খেলেই ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন জুলিও সিজার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads