• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

ফুটবল

ফিফা রেফারি মুনিরের ইন্তেকাল

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১১ মে ২০১৮

বাংলাদেশের প্রথম ফিফা রেফারি মুনির হোসেন আর নেই। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বর্ষীয়ান এ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। দীর্ঘদিন ধরে প্রোস্টেটিজম (প্রস্রাবে জটিলতা) রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং অস্ত্রোপচারও করা হয়েছিল। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায়ও ফিরেছিলেন। কিন্তু দুই সপ্তাহ আগে অবস্থার অবনতি হলে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে। সেখানেই মৃত্যুবরণ করেছেন এই কৃতী মানুষটি।

তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়াঙ্গনে। গতকাল বাদ আসর গোপীবাগে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয় সাবেক এ রেফারিকে।

মুনির হোসেন শুধু দেশের প্রথম ফিফা রেফারিই ছিলেন না, ফুটবল মাঠও দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন তিনি। তবে ইনজুরির কারণে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারকে খুব একটা সমৃদ্ধ করতে পারেননি। খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নিলেও ফুটবল মাঠের ভালোবাসা ছাড়তে পারেননি মুনির হোসেন। সিদ্ধান্ত নেন রেফারি হিসেবে ক্যারিয়ার গঠন করবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। রেফারি হিসেবে নিজেকে প্রস্তুতও করে ফেলেন। ১৯৬৮ সালে মেধাবী এই মানুষ রেফারিদের নিয়ে আয়োজিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। স্বাধীনতার পর দেশের যে চারজন ফিফার আন্তর্জাতিক রেফারি হন, তাদের মধ্যে মুনির হোসেন অন্যতম। ১৯৭৪ সালে ফিফা রেফারি হয়েই কুয়েতে এশীয় যুব ফুটবল, থাইল্যান্ডে কিংস কাপ ফুটবলের প্রথম আসর, ইরানে ১৯তম যুব ফুটবলসহ অনেক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

বহুগুণের অধিকারী এ মানুষটি শুধু ফুটবলাঙ্গনেই নন, বিচরণ করেছেন কাবাডি ম্যাটেও। কাবাডি ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৮৮ সালে নেন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। তিন দফায় ২৬ বছর এই গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন মুনির হোসেন। এ ছাড়া এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি এবং কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক কাবাডি ম্যাচেও রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন মুনির হোসেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads