• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ড্রোন হামলা প্রতিরোধে প্রস্তুতি

১১টি স্বাগতিক শহরের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে

ইন্টারনেট

ফুটবল

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

ড্রোন হামলা প্রতিরোধে প্রস্তুতি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৩ মে ২০১৮

বিশ্বকাপ চলাকালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করছে রাশিয়া। এর অংশ হিসেবে ড্রোন হামলা প্রতিরোধে সিরিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহূত জ্যামিং ডিভাইস ব্যবহার করবে তারা।

আগামী ১৪ জুন বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ। তবে আয়োজকদের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা সন্ত্রাসী হামলার হুমকি।

২০১০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই রাশিয়ায় বেশ কয়েকবার আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। ধারণা করা হয়, সিরিয়ার ইসলামিক স্টেট (আইএস) নামধারী জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসাজশ থাকা উত্তর ককেসাস অঞ্চলের জঙ্গিরা এই হামলা চালায়।

চলতি বছর সিরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ান মিলিটারি বেইসে ড্রোন হামলা চালানো হয়। তাতে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিশ্বকাপ চলাকালে স্টেডিয়ামে ড্রোনের মাধ্যমে বোমা হামলা চালানোর সম্ভাবনা একেবারে হালকাভাবে নিচ্ছে না রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ফেব্রুয়ারি দেশটির সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ ১২টি স্টেডিয়ামের বাইরে জ্যামিং স্টেশন স্থাপনের নির্দেশ দেন। যাতে করে দূর থেকে রিমোটের মাধ্যমে ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির একটি সংবাদমাধ্যম জানায় যে, জ্যামিংয়ের কয়েকটি ইউনিট খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ করছে, যে বিষয়ে শুধু এফএসবি সিকিউরিটি সার্ভিস অবগত।

এই জ্যামিং ডিভাইস সিরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ইউরোপিয়ান পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছে যে, ক্রিমিয়া সঙ্কটের সময়ও এটা ব্যবহার করা হয়েছিল।

রাশিয়ার সাবেক সন্ত্রাস-প্রতিরোধ অফিসার বলেন, ‘ড্রোনের মাধ্যমে খুবই সহজে দুই বা তিন কেজি বিস্ফোরক নির্ধারিত লক্ষ্যে নিয়ে বিস্ফোরিত করা যায়।’

নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে আগামী কয়েক মাসের জন্য রাশিয়া বেশ কয়েকটি নো-ফ্লাইট জোন নির্ধারণ করেছে এবং বিমান চলাচলে আরো কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর আওতায় স্টেডিয়াম, স্বাগতিক শহর, অনুশীলন মাঠ এবং অংশগ্রহণকারী দলগুলোর থাকার হোটেলও রয়েছে। পরিবহন মন্ত্রণালয় ৪১টি স্থানে সব ধরনের বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। ১১টি স্বাগতিক শহরের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজধানী মস্কোতে স্থায়ীভাবে ড্রোন চালানো নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads