• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
বাল্যকালের স্মৃতিই বিশ্বকাপ ফুটবলে তারকাদের প্রেরণা

বিশ্বসেরা ফুটবল তারকা নেইমার

সংগৃহীত ছবি

ফুটবল

বাল্যকালের স্মৃতিই বিশ্বকাপ ফুটবলে তারকাদের প্রেরণা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৯ মে ২০১৮

রাশিয়া বিশ্বকাপ মাতাতে যাচ্ছেন নেইমার, হ্যারি কেন, গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও পল পগবার মতো বিশ্বসেরা তারকা ফুটবলাররা। আজ তারা মাঠের লড়াইয়ে মেগাস্টার। কিন্তু এক সময় তো তারাও ছিলেন ফুটবলের ক্ষুদে পাঁড় ভক্ত। ছোটবেলায় ঘরে বসে টিভির পর্দায় উপভোগ করেছেন বিশ্বের সর্বোচ্চ এই ফুটবল উৎসব। গা ভাসিয়েছেন বিশ্বকাপ উন্মাদনায়। তাদের কেউ ছিলেন বিশ্বকাপ জয় উদযাপনের অংশীদার। আবার কেউ ভেতরে  ভেতরে কুঁকড়ে মরেছেন প্রিয় দলের হারের কষ্টে।

কৈশোরের সুখ-দুঃখের সেই স্মৃতি আজো উজ্জ্বল আর প্রাণবন্ত ফুটবলারদের হূদয়ের দৃশ্যপটে। সেই বাল্যকাল থেকেই ‘গ্রেটেস্ট ফুটবল শো অন আর্থ’-এর সৌন্দর্য ২০১৮ বিশ্বকাপ আসরের তারকা খেলোয়াড়দের ফুটবল ক্যারিয়ারে অনুপ্রেরণার জোগান দিয়ে গেছে। জীবনের প্রথম দিকের সেই বিশ্বকাপ স্মৃতিচারণ করে ফুটবল অনুরাগীদের সোনালি অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন এবারের বিশ্বকাপের সুপারস্টার ফুটবলাররা।

নেইমার : ১৯৯৪ বিশ্বকাপের স্মৃতিই আমার জীবনের প্রথম। যদিও তখন আমি দুই বছরের ছোট্ট ছেলে। টিভিতে হল্যান্ডের বিপক্ষে রোমারিওকে গোল করতে দেখেছি। এটাই আমার প্রথম স্মৃতি। যতটুকু মনে পড়ে, বেবেতো ক্রস নিয়েছিলেন। এটিই তার প্রথম ক্রস এবং তা থেকে গোল হয়েছিল।

পল পগবা : ১৯৯৮ সালের ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩-০ গোলে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতি আমার মনে এখনো যেন তরতাজা। তখন আমি সত্যিই খুব ছোট ছিলাম। বয়স ছয় কি সাত হবে। ঘরে বসে অন্য সবার সঙ্গে খেলা দেখছিলাম। ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবাই উচ্ছ্বাসের তোড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ি। গাড়ির ওপর উঠে জয়োল্লাস করতে থাকি। চারদিকে হর্ন বাজছিল এবং আমরা সবাই যারপরনাই খুশি ছিলাম।

হ্যারি কেন : ২০০২ বিশ্বকাপের স্মৃতি আজো স্মরণ করি। শেষ আটের ম্যাচে গোলবারের টপ কর্নার দিয়ে রোনালদিনহোর অবিস্মরণীয় ফ্রি-কিক ইংল্যান্ডের জালে জড়িয়ে পড়ে। এটা এখনো আমাকে পীড়া দেয়। এটি আমার জীবনের শুরুর দিকের বিশ্বকাপ স্মৃতি। সেই থেকে সব সময় বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখে গেছি।

গ্যাব্রিয়েল জেসুস : উৎসব উদযাপন করতে গত তিন বিশ্বকাপে জন্মশহর জার্দিম পেরির রাস্তা রাঙিয়েছি। আমাদের কমিউনিটির জন্য এটি ছিল অনেকটা বাধ্যতামূলক এক রীতি। প্রত্যাশা করছি রাশিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাব। উপলক্ষটা উদযাপন করব মনের সব আনন্দ দিয়ে।

রাদামেল ফ্যালকাও : আমার প্রথম বিশ্বকাপ স্মৃতি? ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ফ্রেডি রিনকনের দেওয়া গোল। বয়স তখন চার বছর হবে। কলম্বিয়ার সবাই উপলক্ষটা উদযাপন করেছিল। স্মৃতিটা ছিল খুবই ক্ষণস্থায়ী। পরেও সেই গোলের ভিডিও দেখেছি। বার বার সেই গোল দেখেই বড় হয়েছি।

থিয়াগো আলকানতারা : আমার প্রথম স্মৃতিতে ভাসছে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ। ব্রাজিলের হয়ে আমার বাবা মাজিনহো সেবার বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। আমি তখন তিন বছরের। স্মৃতিটা আজো মনে দাগ কেটে যায়। বাবা দেশে ফিরলেন। উদযাপন হলো। পরিবারের সবাই তাতে শামিল হয়েছিলাম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads